|| খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি||
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও রামগড়ে ৩০ মিনিটের ব্যাবধানে বজ্রপাতের আগুনে দগ্ধ হয়ে মা-ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, হাসিনা বেগম (৩০), তার শিশুপুত্র হানিফ মিয়া (৮) ও গনজ মারমা(৫৫)। রোববার ভোর ৫টায় উপজেলার মেরুং ইউপি'র মধ্য বেতছড়ি গ্রামে ও রামগড়ের হাজা বৈদ্যপাড়ায় ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে,
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় রোববার ভোর ৫ টার সময়
বজ্রপাতের আগুনে দগ্ধ হয়ে মা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে বসতঘরে আগুন লেগে
অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হাসিনা বেগম ও শিশু হানিফ মিয়া সম্পর্কে মা-ছেলে। দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে লাশ উদ্বার করে। মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি মিডিয়াকে বলেন, বজ্রপাতে টিনের ঘরটি পুড়ে নিহতদের মরদেহ অঙ্গার হয়ে গেছে। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের স্বামী গাড়ি চালক ছাদেক আলী বাড়িতেই ছিলেন না।
একইদিন জেলার রামগড়ে ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে রামগড়ের হাজা বৈদ্যপাড়ায় বজ্রপাতে গনজ মারমা নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় মৃত কংজ মারমার ছেলে। এ সময় গনজ মারমার গোয়ালে তাকে দুইটি গরুও মারা যায়।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বজ্রপাতে নিহতের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা সহযোগীতা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরীর কাজ চলমান রয়েছে।
দীঘিনালা থানার ওসি মো: নুরুল হক জানিয়েছে, লাশগুলো আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে রামগড়ে মৌসুমের প্রথম কাল বৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বসতবাড়ি, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন। ভোরে কাল বৈশাখীতে রামগড়- জালিয়াপাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া দারগাপাড়া ও রামগড় বাজারে কালবৈশাখীতে বসতবাড়ির টিন, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০