ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলা মির্জানগর ইউনিয়ন জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তোড়জোড়ের অভিযোগ উঠেছে এবি পার্টির সাবেক জেলা যুগ্ম আহবায়ক জাফর আহমেদের বিরুদ্ধে।
৫ ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থান এর আগে এবি পার্টির পদধারী নেতা হলেও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে খোলস পরিবর্তন করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য শিবিরের সাবেক কিছু নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে জামায়াতের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যাতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় জামায়াত শিবিরের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
এ ছাড়াও এবি পার্টির সাবেক এই নেতার বিরুদ্ধে, অসৎ উপায়ে ব্যবসায় অর্থ আত্মসাৎ ও দখল দারিত্বসহ,অশ্লীল ও অন্যায় আচরন সহ নানান অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জামায়াত নেতা বলেন, জাফর আহমেদ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো দীর্ঘদিন যাবত শুনে আসতেছি, তার মত একজন সুযোগসন্ধানী মানুষ প্রার্থী হওয়ার জন্য দলের মধ্যে গ্রুপিং করে দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অথচ একই ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থীত সাবেক চেয়ারম্যান সহ গত ১৫ বছর ধরে নির্যাতনের স্বীকার নেতাকর্মীরা থাকলেও তার গ্রুপিংয়ের কারনে বাকিরা মুল্যায়িত হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে জানতে তার এলাকায় গেলে আরো অমানবিক বিষয় উঠে আসে, নিজের ঋণএর বোঝা মৃত ব্যক্তির উপর চাপিয়ে মরণোত্তর বিচার দাবি করে ওই পরিবারকে নানা রকম হয়রানি , ব্যবসার নামে আত্মীয়স্বজনের অর্থ আত্মসাৎ, ভাইয়ের পরিবারের মহিলাদের উপর হামলা ,অন্যের বায়নাকৃত জমি দখল করে হত্যার হুমকিসহ সহ নানান অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ আচার আচরণের তথ্য প্রমাণাদি আমাদের কাছে উঠে আসে।যার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসী আইনের আওতায় এনে তার বিচারের দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের একাধিক সদস্যর সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, ” আমরা জাফর আহমেদের ব্যাপারে জামায়াতের কাছে অভিযোগ দিয়েছি আশা করি তারা সুরাহা করবেন,পরবর্তীতে আইনের দ্বারস্থ হবো”
এদিকে জামায়াতের নির্বাচনী সূত্রে জানা যায় , ফেনী পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নে এখনো জামায়াত তার প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
এদিকে এবি পার্টির গত কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক পদে থাকলেও ৫ আগষ্ট পরবর্তীতে কমিটিতে তাকে রাখা হয় নি বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয় এ জানতে অভিযুক্ত জাফর আহমেদ এর সাথে যোগাযোগের জন্য তার বাড়িতে গেলে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।