ডি এইচ মনসুর, চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় উপজেলায় দেশের একমাত্র ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি ফসফরিক এসিডের সংকটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। গত ১জুলাই থেকে কারখানায় ডিএপি সারের প্রধান কাঁচামাল ফসফরিক এসিড শেষ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয় কতৃপক্ষ।
চলতি অর্থবছরের ফসফরিক এসিড আমদানির ক্রয় প্রস্তাব শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে না পাঠানোর কারণে এমন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে বলে ডিএপি সার কারখানা সুত্রে জানা গেছে।
গত জুন মাস থেকে ডিএপি সারা কারখানার পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডেস্ক কমিটির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হলেও ক্রয় প্রস্তাবটি অদৃশ্য কারণে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও সিবিএ নেতাদের। এখানে বিসিআইসির উর্ধ্বতন কর্মকতাদের উদাসীনতার দায়ী বলে জানিয়েছে সিবিএ নেতারা।
জানা যায়, আনোয়ারার রাঙ্গাদিয়ায় অবস্থিত ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড সার কারখানার প্রধান কাঁচামাল ৩০ হাজার মেট্রিকটন ফসফরিক এসিড (তিন লটে) ক্রয়ের জন্য গত ৭ এপ্রিল দরপত্র আহবান করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। যার মূল্য প্রায় (আনুষঙ্গিক ব্যয়সহ) ১৭৭ কোটি ৩৪ লক্ষ সাতাশ হাজার টাকা। ২৪ এপ্রিল দুইজন সর্বনিম্ন দরদাতা নির্ধারণ করা হয়। গত ২ জুন তাদের বিপরীতে আর্থিক ক্ষমতা অর্পণের জন্য ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করতে বিসিআইসির মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠান ডিএপি সার কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত এক মাসেও ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের। ফলে ডিএপি সার কারখানার মজুদকৃত ফসফরিক এসিড শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিসিআইসির যুন্মসচিব মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। এটি খতিয়ে দেখব৷ আশা করি ২৩ জুলাইয়ের মধ্যেই অনুমোদনটা হয়ে যাবে।