নিজস্ব প্রতিবেদক:
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়নে সহায়ক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ট্যাব বিতরণে স্বজনপ্রীতিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনেক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির মেধাবী ছয় শিক্ষার্থীর মাঝে ট্যাব বিতরণের কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জনশুমারী ও গৃহগণনা-২০২২ কাজে ব্যবহৃত ট্যাবগুলো ফেলে না রেখে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদরাসার নবম ও দশম শ্রেণির ১ম, ২য় ও ৩য় রোল নম্বরধারী শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাবগুলো বিতরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত ৮ এপ্রিল পার্বতীপুর উপজেলার ৭০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় ৪২০টি ট্যাব সমসংখ্যক শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হয়। ১ম, ২য় ও ৩য় রোল নম্বরধারী শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব ট্যাব বিতরণের কথা থাকলেও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তা মানা হয়নি।
শহরের জ্ঞানাঙ্কুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আবুল কালাম আজাদ। বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়নরত এ শিক্ষার্থীর শ্রেণি রোল এক হওয়া স্বত্বেও তাকে অজ্ঞাত কারণে ট্যাব বিতরণের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উত্তর শালন্দার হাই স্কুল এন্ড কলেজে ঘটেছে ব্যতিক্রমী আরেক ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর ট্যাব পেতে দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের কোন শাখা না থাকলেও ফুয়াদ হাসান ও মুশরাত মালিয়াত মহুয়া নামে এ দুই শিক্ষার্থীকে রোল নম্বর এক দেখিয়ে ট্যাব দেয়া হয়েছে।
সিরাজুল হুদা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেঘলা। তার শ্রেণি রোল দুই হলেও তাকেও ট্যাব দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ করেন বেলাল হোসেন সরকার নামে এক অভিভাবক।
এ ঘটনায় প্রতিটি প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে ট্যাব বিতরণের অনিয়মের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
এ দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিভাবকের দেয়া অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল হক প্রধান বলেন, তালিকা প্রস্তুত থেকে বিতরণ সব কিছু করেছেন বিদ্যালয় প্রধানরা। ট্যাব না পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পরেননি এই কর্মকর্তা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০