নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের দরদরী ঘোনায় দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত বসতী স্থাপন করে বসবাস করে আসা বিধবারসহ ১০/১২ টি অসহায় পরিবারকে উচ্ছেদ করতে মরিয়া হয়ে স্থানীয় প্রশাসন যন্ত্র ব্যবহার করছে প্রভাবশালীর কার্যকারক ফজল করিম। অভিযুক্ত ফজল করিম একই এলাকার মৃত আমিরুজ্জামার ছেলে।
ভূক্তভোগী জয়গুনা খাতুন জানান,আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি মানবেতর দিন পার করে আসছিলাম। আমার ছোট ছেলে মেয়েদের মাথা গোজাঁর ঠাই করে দেয়ার জন্য ১৯৯৭/৯৮ সনে মগনামা মৌজার বি এস ১ নং খাস খতিয়ানের ৫০০৮ দাগের ১ একর ১৫ শতক মাননীয় সরকার বাহাদুরের প্রতিনিধি জেলা ভূমি কমিশনার বরাবর স্বল্প মেয়াদী ইজারা আবেদনের পর মাননীয় জেলা ভূমি কমিশনার তদন্তপূর্বক আমার পক্ষে ইজারা প্রদানের পর হতে বসতবাড়ী তৈরি করে আজ পর্যন্ত বসবাস করে আসছি। যার মামলা নং ৮০/১৯৭-৯৮ ইং। বিগত দিয়ারা জরিপে ফজল করিম প্রভাবশালী জমিদারের সহযোগিতায় আর এস ও বি এস জরিপের তথ্য গোপন করে কিছু অংশ জমি তাদের নামে রেকর্ড করে। যার দিয়ারা খতিয়ান (২৫৩৩ ও দাগ নং ৫০৬১)। এ দিয়ারা জরিপের ১নং খাস খতিয়ান এর স্থলে (খতিয়ান ২৫৩৩ নং ও দাগ নং ৫০৬১) হওয়ায় এর বিরুদ্ধে আমরা আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করি। যা চলমান আছে। অথচ ভূমি আইনে আর এস ও বি এসের ধারাবাহিক তথ্যের মিল না থাকলে তৃতীয় জরিপের কোন ভিত্তি থাকে না। এ সবের তোয়াক্কা না করে ভূমিদস্যূ প্রভাবশালীর সহযোগীতায় ফজল করিম জবর দখল করার জন্য পেকুয়া থানা পুলিশকে প্রভাবিত করে জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। আমি একজন অসহায় বিধবা মহিলা বিধায় আমি তাদের এ জবর দখলের হাত থেকে বাচতে প্রশাসনের উচ্চ মহলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, জমির বিষয়ে মগনামার ফজল করিম নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দেয়। তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি কাউকে জমি জবর দখল করে দেয়ার জন্য পুলিশ ব্যবহার হবে না। অভিযোগটির তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেহেতু জমি সংক্রান্ত বিষয় এখানে পুলিশ প্রতিপক্ষ হবে না তাদেরকে আদালতের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হবে।