মো.সফিকুল আলম দোলন,পঞ্চগড় প্রতিনিধি ঃ
পঞ্চগড় জেলা তীব্র শীত প্রবণ হওয়ায় জেলায় শীত মৌসুমে প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় লেপ তোষকের চাহিদা বেড়ে যায়। শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে তুলনামূলক শীতের প্রভাব বেশী থাকে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে শীতের আগমনী বার্তা জানান দেয়ার পর থেকে পঞ্চগড়ে দিন দিন কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা, সঙ্গে গভীর রাতে বাড়ছে শীত। শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তোষক বানানোর কাজ শুরু হয় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকেই । এতেই জেলায় লেপ তোষক বানানোর কারিগররা বর্তমানে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন লেপ-তোষক বানানোর কাজে । জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, লেপ তোষক বানানোর পল্লীতে ও দোকানে ত্রেুতাদের ভীড় । কারিগর গুলো লেপ তোষক তৈরীতে ব্যস্ত । ত্রেুতাদের চাহিদা মোতাবেক লেপ তোষক তৈরি করে থাকেন কারিগর ।কারিগরদের মধ্যে কেউ কেউ ত্রেুতাদের বাড়িতে গিয়েই লেপ তোষক তৈরী করে দিয়ে আসছেন ।এতে লেপ তোষক প্রতি মজুরী হিসেবে তাদের ভাগ্যে জোটে ছোট-বড় অনুযায়ী ৩শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত। বোদা বাজারের লেপ তোষক বানানোর কারিগর মনসুর আলী, বশির আলী,আনিসুর জানান, ছোট বড় প্রকার ভেদে এবার লেপ তোষক বানাতে খরচ পড়ছে ৮শ থেকে ৯ শ টাকা পর্যন্ত।মজুরী, তুলাসহ লেপ তোষক বানানোর কাজে ব্যবহৃত জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ তোষকের দাম গড়ে ২শ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান আনিসুর স্টোর এর মালিক আনিসুর রহমান। বর্তমান বাজারে গার্মেন্টস ঝুট দিয়ে তৈরি সিঙ্গেল তোষক ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা এবং ডবল তোষক সাইজ অনুযায়ী ১২শ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত বছর শিমুল তুলা ছিল ৪শ টাকা কেজি, এবার বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬শ টাকা। গার্মেন্টস ঝুট গত বছর ২৫/৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার ৫৫/৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তোষক বিক্রেতা বশির। অন্যান্য তুলাও কেজি প্রতি ২০/২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০