নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী জেলা পরিষদের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আপিল বিভাগের আদেশ প্রতিপালনের জন্য নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখা-২–এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন সিদ্ধান্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে জানানো হয়।
জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের চিঠিটি বেলা তিনটার দিকে তিনি পেয়েছেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নোয়াখালী জেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। ১৭ অক্টোবর ওই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, এর আগে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে ঋণখেলাপির অভিযোগে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আলাবক্স তাহের টিটুর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আপিলেও বহাল থাকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত। আলাবক্স তাহের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে (হাইকোর্টে) রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মনোনয়ন বাতিলের আদেশ স্থগিত করে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দেন।
এদিকে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। এর মধ্যে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। তাতে আলাবক্স তাহের লটারির মাধ্যমে আনারস প্রতীক পান।
এ অবস্থায় ২৭ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। ২৮ সেপ্টেম্বর সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত করে ১৭ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেন আদালত। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের পর যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে চেয়ারম্যান পদে দুজন, সাধারণ সদস্য পদে ২৭ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১৫ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ১৭ অক্টোবর নোয়াখালীর ৯টি কেন্দ্রে জেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনে এই জেলায় মোট ভোটার ১ হাজার ৩০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৯৮ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ৩০৮ জন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০