তাওহীদ জিহাদ, (জলঢাকা) নীলফামারীঃ নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নে এক সেনা সদস্যকে হেনস্তার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেনাবাহিনীর সদস্য মাহমুদুর রহমানকে একটি ছাত্রদল–ঘনিষ্ঠ কিশোর গ্যাং রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনকে আটক করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—
গোলমুন্ডা হাইস্কুল মাঠসংলগ্ন এলাকার আফজাল হোসেনের পুত্র ও ছাত্রদলের সাবেক ইউনিয়ন সভাপতি হেলাল উদ্দীন,
তার বড় ভাই, স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক ডা. সিহাব উদ্দীন,
স্থানীয় মোশাররফ কাজীর ছেলে ও ছাত্রদল নেতা, নীলফামারী সরকারি কলেজের কার্যনির্বাহী সদস্য মেহেদী হাসান,মোজাম উদ্দীনের ছেলে রাকিব হাসান।
হেনস্তার ঘটনায় সেনাসদস্য মাহমুদুর রহমান আহত হন। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পরপরই অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যমে একটি পরিকল্পিত প্রচারণা চালানো হয় যে ঘটনাটি নাকি “জামায়াত-শিবিরের” কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত। যদিও স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। রাজনৈতিক দায় এড়ানোর জন্যই ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নীলফামারী জেলা শাখার শিবির দায়িত্বশীল আরমান হাফিজ মাসুম বলেন:।“জলঢাকার গোলমুন্ডা ইউনিয়নে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের উপর দায় চাপানো হয়েছে, যা আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করি। মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে দায় চাপানো এই অভ্যাস দেশের জনগণের প্রত্যাশার বিপরীত। আমরা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে এ ধরনের মিথ্যা দায় চাপানোর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।