মো জহুরুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি।
নীলফামারীতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি ও উপজেলা নায়েবে আমীরসহ জামায়াত-শিবিরের ৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেলার জলঢাকা আর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের পৃথকভাবে আটক করা হয়েছে।
এব্যাপারে নীলফামারী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রওশন কবির জানান, বিশেষ অভিযানে আমরা ডিমলা ও জলঢাকার ৫ জন জামায়তে শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এবিষয়ে জলঢাকা থানা একটি মামলা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবির জানান, ২৭ তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জলঢাকার দক্ষিণ দেশিবাই কাচারি পাড়া এলাকার মোখলেছুর মাষ্টারের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক জেহাদী বই, বাঁশের লাঠি, রড়, ইট পাটকেলসহ উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর কামরুজ্জামান(৪৮), জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মহসিন আলী(২৮), জলঢাকা উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক মোহম্মাদ মুজাহিদুল ইসলাম(২৯), ডিমলা উপজেলা বালাপাড়া ইউনিয়নের জামায়াতের সেক্রেটারী রবিউল ইসলাম(৪৮) ও সদস্য উপজেলা শিবির কর্মী মাইনুল ইসলাম(২০)কে আটক করেন।
তিনি জানান, নাশকতা আত্মর্ঘাতমূলক কার্যক্রম করার পরিকল্পনাসহ প্রস্ত্তুতি গ্রহণ করার অপরাধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ ডি রুজু করে ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
জেলা জামায়াতের মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক ছাদের হোসেন এর দাবি, আটক ব্যক্তিদের নামে নিয়মিত কোন মামলা নাই। তাদেরকে জেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে এবং বুধবার সন্ধা ৭ টায় জলঢাকা বাসস্ট্যান্ড থেকে শিবিরের জেলা সভাপতি মহসিন কে ডিবি পরিচয়ে আটক করা হয়। এর পরে পর্যাক্রমে বিভিন্ন নেতা কর্মীকে নিজ বাড়ী থেকে আটক করে। ডিমলায় রবিউল ইসলামকেও মধ্যরাতে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। গভীর রাতে আনুমানিক ২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত অপর ৩ জনকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেয়া
হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত আটককৃতদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে কোন তথ্য দেয়নি প্রশাসন। তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ বিনা অপরাধে অসৎ উদ্দেশ্যে হয়রানীমুলক নেতাকর্মীদের আটক করেছে।
জেলা পুলিশ নীলফামারীর সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত-শিবির ৫জন নেতাকর্মী ছাড়া বিভিন্ন আরো ১৫ জন আসামীকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। এগুলো হলো- নীলফামারী থানা: নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার-০২ জন, জি আর মামলায় গ্রেফতার-০২ জন, সি আর মামলায় গ্রেফতার-০১ জন। জলঢাকা থানা: নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার-০৪ জন, জি আর মামলায় গ্রেফতার-০১ জন। ডোমার থানাঃ নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার-০২ জন। ডিমলা থানাঃ সি আর মামলায় গ্রেফতার-০২ জন। কিশোরগঞ্জ থানাঃ সি আর মামলায় গ্রেফতার-০১ জন