মোঃ শাহীন,
নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আলীক্ষং মিরঝিরি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত বিদ্যালয়টি। দূর্গম জনপদের বিদ্যালয়টিতে যেতে স্কুল শিক্ষক সহ ছাত্র ছাত্রীদের দূর্ভোগের আর শেষ নাই ।
প্রতিদিন খাল পেরিয়ে ভেজা কাপড়ে যেতে হয় স্কুলে। পাহাড়ী খাল বর্ষা ও শুকনো মৌসুমে পানি থাকে ভরপুর। বর্ষা মৌসুমে স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে জানালেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন মাত্র একটি ব্রীজের অভাবে শিক্ষক সহ ছাত্র ছাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাছাড়া সব শিক্ষার্থী রয়েছে ১১ বছরের কম বয়সী। তাই তিনি শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে সব সময় দুঃচিন্তায় থাকেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান তিনি বিষয়টি চেয়ারম্যান কে জানিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ব্রীজটি নির্মানে উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।
সরজমিনে গিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন আগে বিদ্যালয়টি নির্মিত হলে ও একটি ব্রীজের অভাব ও বিদ্যালয়ে যেতে রাস্তাঘাটের অবস্থা করুন দশায় পরিনত হওয়ায় দুঃখের আর শেষ নাই।
সাবেক বিদ্যালয়ের সভাপতি আনিছুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি গ্রামের লোকজন ও ব্রীজের অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ব্রীজটির অভাবে পাহাড়ের উৎপাদিত পন্য ও গাড়ী যোগে আনা নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। তাছাড়া রয়েছে খালের ওপারে হাজার হাজার একর রাবার বগান সহ বনজ ও ফলজ বাগান। যেখানে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে কয়েক লাখ টাকার রাবার ও ফল ফলাদি । সরকার পাচ্ছে প্রতিদিন হাজার টাকার রাজস্ব। ব্রীজটি নির্মান হলে সাধারণ মানুষ সহ শিক্ষার্থীদের মুখে ফুটবে হাসি।
বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন মাত্র একটি ব্রীজের অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষের। সে বিষয়টি তার অবগত রয়েছে। বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছেন।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম এর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলীক্ষ্যং মিরঝিরি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে খালের উপর ব্রীজটি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং তিনি অবগত রয়েছেন। এখনো কোন ধরনের বরাদ্দ না আসায় ব্রীজ নির্মাণ সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে ও জানান।
এলাকাবাসী ব্রীজটি নির্মানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর এর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।