এম এ মোতালিব ভুঁইয়া :
দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের কার্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ ধসে পড়ায় আতঙ্কিত গ্রাহক ও ব্যাংকের
কর্মকর্তা-কর্মচারী। রোববার(৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলা সদরের মধ্যবাজারে অবস্থিত দু’তলা ভবনের ছাদ ধসে পড়ায় ভেতরে থাকা গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হৈ চৈ শুরু করেন।কিছু সময়ের জন্য ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিষয়টি মুহুর্তের মধ্যে দোয়ারাবাজারের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষনিক সংবাদ কর্মিরা সোনালী ব্যাংকে উপস্থিত হলে ব্যাংকের গ্রাহকরা জানান, সোনালী ব্যাংকে হাজার হাজার গ্রাহক রয়েছে। প্রতিদিন ব্যাংকিং লেনদেন করে গ্রাহকরা হঠাৎ সোনালী ব্যাংকের ছাদ ধসে পড়ায় আমারা ব্যাংকে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। যে কোন সময় ব্যাংকের পুরো ছাদ ধসে হতাহতের মত মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উপস্থিত গ্রাহক গণ হলেন, ছাদিকুর রহমান,আমবাড়ী, মো,সামসুল হক, কাঠাল বাড়ী নাজমা বেগম, কৃষ্ণনগর, মোস্তফা কামাল, নোয়াপাড়া, সামসুল আলম,টেংরা রুহুল আমিন, মাছিম পুর, আব্দুল্লাহ টেংরা, আরিফুন নেছা, কৃষ্ণনগর, এসময় আতঙ্কিত গ্রাহক গন বলেন, আমরা সোনালী ব্যাংকে আসার পর হঠাৎ
জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনের পুরাতন ফাটলের ছাদ ধসে পড়লে সবাই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।
সোনালী ব্যাংকের ফিল্ড সুপার ভাইজার
বুলবুল আহমদ জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত সোনালী ব্যাংকে কর্মরত আছি মেয়াদ উত্তীর্ণ ভবনে ঝুকির মুখে কাজ করছি যে কোন সময় ভবন ধসে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপক আহমদ আল মাসুম জানান, সোনালী ব্যাংক ভবনটি প্রতিনিয়ত টুকরা টুকরা ছাদ ধসে পড়ে গ্রাহকদের পাশাপাশি আমরাও সব সময় আতঙ্কে থাকি।১৯৯৫ সালে এই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হলেও আজ পর্যন্ত সরকার বা ব্যাংকের উপরের মহল বিষয়টি নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি, যে কোন সময় ভবন ধসে পড়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, ২৯মে ২০১৬ইং তারিখে দোয়ারাবাজার সোনালী ব্যাংকের কার্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ ধসে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছিলেন।