স্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ :
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজির আলমের প্রত্যাহারের দাবিতে স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বয়কট, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা কর্মসূচি পালন করেছে দোয়ারাবাজার উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা। শুক্রবার (২৬ শে মার্চ) দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা দোয়ারাবাজার থানার ওসিকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮) একই ইউনিয়নের শুুুড়িগাও গ্রামে তার শশুর কাঞ্চন মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যান। শশুুর বাড়িতে বেড়ানোরত অবস্থায় গত ২৫ মার্চ দুুুপুরে বিনা ওয়ারেন্টে আনোয়ার হোসেন ও তার শ্যালক ফারুক আহমদ(১৭)কে দোয়ারাবাজার থানার ওসির মোহাম্মদ নাজির আলমের নির্দেশে গ্রেফতার করেন এস আই মিজানুর রহমান। এভাবে বিনা ওয়ারেন্টে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের হাতে হাতকড়া পরিয়ে স্বাধীনতা দিবসের শুরুতে উপজেলার সকল মুক্তযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অপমান করা হয়েছে। স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অযথা থানা পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা এদেশ স্বাাধীন করেনি। এসময় বক্তারা দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলমকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা আমরণ অনশনসহ বড় ধরনের কর্মসূচির ডাক দেবেন বলেও হুশিয়ারি দেন। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বীর প্রতীক, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সফর আলী, উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনফর আলী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা লালা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জমির আলী প্রমুখ। এর আগে ২৬ শে মার্চের প্রশাসনিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এদিকে দুুুুপুরে এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুর রহিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালেহা বেগম প্রমুখ। এবিষয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে দোয়ারাবাজার থানা ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম সাংবাদিকদের জানান, কার্য বিধি আইনে ১৫১ ধারায় আমলযোগ্য অপরাধ এবং বড় ধরনের সংঘাত না ঘটার জন্য তাদের আটক করা হয়।