
দোয়ারাবাজারে এলজিইডির ৫ কোটি টাকার আম্পান প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ
ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী
এম এ মোতালিব ভুইয়া :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের চকবাজার–হরিণাপাঠি সড়কের উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। এলজিইডির অধীনে আম্পান পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ কোটি ৩২ লাখ ৪৫ হাজার ৪২০ টাকা ব্যয়ে সড়ক, পালাসাইডিং ও ড্রেন নির্মাণের কাজ চললেও এতে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, দুর্বল ভিত্তি এবং কারিগরি ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে দাবি তাদের।
প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী প্রায় ১,২০০ মিটার সড়ক, ১,৪০০ মিটার পালাসাইডিং ও ৪০০ মিটার ড্রেন নির্মাণের কথা। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ—গার্ডওয়াল ও সুরক্ষা ব্লকে ব্যবহৃত কংক্রিট ও রডের মান প্রশ্নবিদ্ধ। কাজের বিভিন্ন অংশে অবহেলা এবং তদারকির ঘাটতি থাকায় ভবিষ্যতে সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
এলাকাবাসীর দাবি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম. এ. ইঞ্জিনিয়ারিং ও নাফিজ আহমেদ (জেভি) এবং উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল হামিদ এর মধ্যে ‘যোগসাজশ’ থাকতে পারে। তাদের মতে, মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া দুর্বল হওয়ায় প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। বক্তারা বলেন, “এ প্রকল্পে যে পরিস্থিতি চলছে তা শুধু ত্রুটি নয়—বরং নানা স্বার্থের প্রভাব থাকতে পারে।”
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ডা. আরবের রহমান খোকন, শাহ আলম, মনির হোসেন, ডা. সাইফুল ইসলাম, শরাফত আলী, মো. জাকির হোসেন, সাজিদুল ইসলাম, হারুন অর রশীদ, লিটন আহমেদ, নুর হোসেন, মাস্টার সিকান্দার আহমেদ, ইমাম হোসেনসহ অনেকে। তারা প্রকল্পের নথি জনসমক্ষে প্রকাশ, স্বচ্ছ তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ আমরা গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। নিম্নমানের কাজের কোনো সুযোগ নেই। যেসব স্থানে ত্রুটি পাওয়া যাবে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তা সংশোধন করতে বাধ্য করা হবে। প্রকল্পটি মানসম্মতভাবে সম্পন্ন করতেই আমরা বদ্ধপরিকর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ বলেন,
নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজ করার সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০