জাহেদুর রহমান সোহাগ,রাঙ্গুনিয়া
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, “ একটি অসম্প্রদায়িক রাস্ট্র নির্মাণের জন্য স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই চেতনা নিয়েই আমাদের বাংলাদেশ। আমরা সাম্প্রদায়িক রাস্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছি। দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সবাই মিলে মিশে থাকি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন বিশ্বে বিরল।শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার সৈয়দবাড়ী নারায়ন মন্দির পূজা মন্ডপ পরিদর্শন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে ২০০৮ সালে পূজা মন্ডপ ছিল মাত্র ১১ হাজার। দশ বছরের ব্যবধানে এবছর পূজা মন্ডপ হয়েছে ৩১ হাজার ১ শটি। মানুষের মধ্যে ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে সক্ষমতা বিরাজ করছে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও এসেছে। সে কারণেই ধর্মীয় উৎসব পালনের আগ্রহও বেড়েছে। শুধু পূজা উৎসবেই নয়, ঈদ উৎসবের সময়ও আগের তুলনায় অনেক বেশি উৎসব হয়, কেনাকাটাও অনেক বেশি করা হয়। এমনকি কোরবানির সময় পশু জবাইও আগের তুলনায় অনেক বেশি হয়। এটির কারণ হচ্ছে আমাদের দেশে গত ১০ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, আওয়ামীলীগ সরকারের নেতৃত্বে মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সরকার অব্যাহত রাখতে হবে।’
পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ধর্মের ট্রাস্টি রাখাল চন্দ্র দাশ, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তালুকদার, পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক আসলাম খাঁন, আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান রহিম উদ্দিন চৌধুরী, মীর তৌহিদুল ইসলাম , শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিখিল কুমার নাথ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিভূতি ভূষণ দে, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ দাশ, অধ্যাপক অসীম কুমার শীল, হিন্দু মহাজোটের সভাপতি তপন কুমার দত্ত, পূজা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র প্রমুখ। এর আগে বিকেলে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের শান্তিনিকেতন কবিরাজ ভবন দূগা মন্দির পরিদর্শন করেন। দুটি মন্দিরে তিনি আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০