ঢাকাবুধবার , ২৮ মে ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

কুড়িগ্রামের কৃতি সন্তান
দেশবরেণ্য অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার

প্রতিবেদক
নিউজ ভিশন
২০ এপ্রিল ২০২২, ৪:৩২ অপরাহ্ণ

Link Copied!

এজি লাভলু:
অধ্যাপক ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী দেশ বরেণ্য অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক, রংপুরের অর্থোপেডিক্স চিকিৎসার পুরোধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংগঠক ও সমাজ সেবক; এক কথায় একজন আলোকিত গুণীজন।
১৯৫৫ সালের ১২ মার্চ কুড়িগ্রাম জেলার বর্তমান ফুলবাড়ি উপজেলায় জন্ম জনাব হামিদুল হক খন্দকারের। পিতা মরহুম ডাক্তার নজির হোসেন খন্দকার ও মাতা মরহুমা আফরোজা বেগম। ফুলবাড়ি জছিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে এসএসসি এবং ৭৪ সালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন তিনি। ১৯৮২ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। ১৯৮৩ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার হিসাবে প্রথম পোস্টিং পান নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। দুই বছর পরে রংপুর মেডিকেল কলেজে আসেন।
১৯৮৯ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য পোস্টিং নিয়ে জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে (নিটোর) যোগদান করেন এবং অর্থোপেডিক্স চিকিৎসায় উচ্চতর কোর্স এমএস সম্পন্ন করেন। ২০০৮ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। দায়িত্ব পালন করেছেন দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে। ২০১৩ সালে তিনি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল বা নিটোরের পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর আগে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে এই অঞ্চলের আর কেউ দায়িত্বপ্রাপ্ত হননি। ২০১৫ সালে এখান থেকেই অবসর গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি রংপুরে প্র্যাকটিস করছেন ।
একসময় এই অঞ্চলের মানুষকে জটিল ও কঠিন হাড়ভাঙা রোগীর অপারেশন কিংবা চিকিৎসার প্রয়োজনে যেতে হতো রাজধানীতে। কিন্তু ডাঃ হামিদুল হক খন্দকারের মেধার বিচ্ছুরণে রংপুরেই হচ্ছে উন্নতমানের অর্থোপেডিক্স চিকিৎসা ও অপারেশন। এই অঙ্গনে একজন বটবৃক্ষ হিসেবে পরিচিত ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার দেশের একজন প্রখ্যাত অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ও সার্জন।
অধ্যাপক ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। মোগলহাটের এক সম্মুখ যুদ্ধে প্রাণ সংশয়ে পড়েছিলেন। মৃত্যুকে দেখেছিলেন আবার একদম চোখের সামনে। এই অপারেশনে হতাহত হয়েছিল বেশ কিছু বীর মুক্তিযোদ্ধা। ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম বিজয় সম্পন্ন হলে জনাব হামিদুল হক সহ একদল (২৫জন) বীর যোদ্ধা রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাঁরা তিস্তার পাড় দিয়ে হেঁটে হেঁটে গঙ্গাচড়ার মহিপুর দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর শহরে ঢোকার আগেই জানতে পারেন বিজয় অর্জনের খবর। পরে জুম্মা পাড়া দিয়ে শহরে ঢুকে বিজয় আনন্দে শরিক হন।
একজন সংগঠন প্রিয় মানুষ হিসাবে অসংখ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং এখনো আছেন জনাব খন্দকার। ছাত্র জীবনে রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। পেশাগত জীবনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সাথে যুক্ত ছিলেন। আগামীতে কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
অধ্যাপক ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার এর সহধর্মিণী বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ মকসুদা খাতুন বর্তমানে অবসর গ্রহণ করেছেন। তাঁদের সংসারে দুই ছেলে। দুজনই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। রংপুর অঞ্চলের অর্থোপেডিক্স চিকিৎসার বটবৃক্ষ খ্যাত দেশবরেণ্য এই অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ও সার্জনের জন্য আমাদের নিরন্তর শুভকামনা।
1,096 Views

আরও পড়ুন

রংপুর অচলের আলটিমেটাম সাবেক মেয়র মোস্তফার

রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
হিমঘর থেকে মৃত ব্যক্তির চোখ উধাও

জেলা জামায়াতের শোকরানা সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী

টেকনাফ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদের শুভ উদ্বোধন

রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজে উদ্যোক্তা ও মানব সম্পদ উন্নয়নে বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়

জামালপুরে বিপুল পরিমাণ গাঁজা দেশীয় অস্ত্রসহ আটক

বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

দ্বিতীয় দিনেও পলাশে সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি অব্যাহত

মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে হায়দরাবাদ হোসনারটেক সমাজবাসীর সংবাদ সম্মেলন

শান্তিগঞ্জে এড.আজাদ বখত ও ফরিদ বখত গণপাঠাগারের শুভ উদ্বোধন

রামুতে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেলো যুবকের!

জামায়াত নেতা আজহারকে খালাস দিলেন আপিল বিভাগ