মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা:
শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকা ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের পদচারনায় মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকার দুপারে ভিড় করছেন শত শত মানুষ। তাদের কেউবা পুজা দেখতে, আবার কেউবা তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। এদিকে দূর্গাপুজা উপলক্ষে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারের সংখ্যাও বেড়েছে তিনগুন।
শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও পিকআপে করে দর্শনার্থী ও ভক্তরা আসছেন হিলি সীমান্তে। অপরদিকে ভারতের অভ্যন্তরেও বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন বাংলাদেশের পুজা দেখতে। কিন্তু সীমান্তে কাঁটার তারের বেড়া এবং বিজিবি ও বিএসএফের কঠোর মনোভাবের কারণে এপার থেকে ওপারে যেতে না পারলেও নোম্যান্স ল্যান্ডের দুই পাশে দাঁড়িয়ে ভারত ও বাংলাদেশের দর্শনার্থীরা একে অপরকে দেখছে ও ছবি তুলে দুঃখটাকে আনন্দে পরিণত করছে।
হিলি সীমান্তে আসা দর্শনার্থীরা জানান,‘সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে দুই বাংলাকে ভাগ করে দিলেও আমাদের মনকে তো আর ভাগ করতে পারেনি, আগে তো দুই বাংলা একই ছিল। তাই ভালোবাসার টানে, প্রাণের টানে, নাড়ির টানে তারা ছুটে এসেছেন সীমান্তে।এছাড়াও তাদের অনেক আত্মীয় স্বজন ভারতে রয়েছে। দীর্ঘ দিন পর সীমান্তে ওই স্বজনদের দেখা হয়েছে।তবে পাসপোর্ট ও ভিসা যাদের তারাই কেবল সীমান্তে এপার-ওপার হয়ে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন। যাদের পাসপোর্ট ভিসা নেই তারা কেবল দুর থেকে আত্মীয় স্বজনকে দেখছেন। তবে তাদের দাবি যদি একটু ভিতরে যেতে দিতো তাহলে ভিতরে গিয়ে প্রতিমা দেখা যেতো এছাড়া সবার সঙ্গে দেখা করা যেতো এবং মন খুলে কথা বলো যেতো।
হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় পাসপোর্টধারী এক নারী বলেন, ‘আমি বগুড়া থেকে এসেছি ভারত যাচ্ছি পুজা দেখতে। আমাদের বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের পুজাগুলো অনেক ভালো হয়। এ কারণে ভারত যাচ্ছি।’ এরকম অনেক যাত্রী বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছেন আবার অনেক যাত্রী ভারত থেকে বাংলাদেশে পুজা দেখতে আসছেন। এছাড়াও অনেকে আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন।