ফরহাদ আমিন:
দীর্ঘ৭বছর ৯মাস পর কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে।প্রায়৮বছর পর হাইকোর্টের আদেশে জেলেরা মাছ ধরার অনুমতি পেয়েছেন।তবে এক্ষেত্রে রয়েছে পাঁচটি শর্ত।বৃহস্পতিবার(১৩ফেব্রুয়ারি)কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরিত স্মারকপত্র সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সিভিল স্যুট শাখার সহকারী কমিশনার মো:কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকে বলা হয়েছে,মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশনের রুলনিশির আলোকে নাফনদীতে জেলে কর্তৃক বৈধভাবে মাছ ধরা কার্যক্রম চালু করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।পিটিশনার কর্তৃক এই কার্যালয়ে গত২০২৪সালের১৫আগস্ট দাখিলকৃত আবেদন যথাযথভাবে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।এরই প্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত শর্তসাপেক্ষে নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি প্রদান করা হলো।
শর্ত সমূহ হলো:
১.সকাল ৮টা থেকে বিকাল৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানায় অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ হতে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবে।
২.জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির ৫টি নির্ধারিত পোস্টে টোকেন/পরিচয়পত্র দেখাবে এবং মাছ ধরা শেষে ফেরত আসার পর বিজিবির পোস্টে তল্লাশী করার ব্যাপারে বিজিবি সদস্যকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে।কোনো জেলে চেকপোস্টে না জানিয়ে মাছ ধরতে পারবে না।
৩.কোনোক্রমে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না।৪.মৎস্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা বিজিবি,কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রদান করা যেতে পারে।যাতে কোনক্রমে নিবন্ধিত জেলে ব্যতীত কেউ নাফ নদীতে মাছ ধরতে না পারে।
৫.এই অনুমোদ।সম্পূর্ণ সাময়িক।তিনমাস পর সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ অনুমতি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো:দেলোয়ার হোসেন বলেন,২০১৭সালের এপ্রিল মাসে নাফ নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।দীর্ঘ প্রায়৭বছর৯মাস পরে জেলেরা নাফ নদীতে মাছ ধরতে পারবেন।