ডি এইচ মনসুর, আনোয়ারার :
আনোয়ারা উপজেলার দুইটি গ্রামসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা এ ঈদ পালন করেন। তাঁরা হানাফি মাজহাব মতে বিশ্বের যে কোন দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রায় দুইশত বছর পূর্ব হতে এভাবে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন।
দরবারের সূত্র জানায়, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ও তৈলারদ্বীপ গ্রামে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে মির্জাখীল দরবার শরীফ মাঠে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জারখীল দরবার শরীফ সূত্র মতে, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমচড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া, এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে বৃহস্পতিবার ঈদ উল ফিতর উদযাপন করা হয়।
এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যাংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে থাকা মির্জারখীল দরবার শরীফের ভক্তরাও ঈদ উদযাপন করেন।
বারখাইন ইউপি ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আজিজুল হক বলেন, সকাল সাড়ে আটটায় আমরা জামাত আদায় করি। এতে দুই হাজারের বেশী মুসল্লি অংশ নেন।
মির্জাখীল দরবার শরীফের মূখপাত্র মো. মছউদুর রহমান বলেন, করোনার কারণে এবারও দরবার শরীফে বড় ঈদ জামাত পরিহার করা হয়েছে। অনুসারীরা নিজ নিজ এলাকায় ছোট পরিসরে ঈদের জামাত করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০