ঢাকামঙ্গলবার , ৮ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. রাজনীতি
  3. সারা বাংলা

তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে শুধু কান্না করতাম আমার লাশটা যেন পরিবারের কাছে যায় : আঃ আমান আযমী

প্রতিবেদক
রফিকুল ইসলাম জসিম
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩:২০ অপরাহ্ণ

Link Copied!

সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী বলেছেন, ‘বারবার মনো হতো তারা হয়ত আমাকে ক্রস ফায়ার করে হত্যা করবে। আমি রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে শুধু কান্না করতাম আল্লাহ আমার লাশটা যেন কুকুরদের খাদ্যে পরিণত না হয়। আমার লাশটা যেন আমার পরিবারের কাছে যায়। সব সময় এ দোয়াটাই করতাম।’

আট বছর পর গত ৬ আগস্ট ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্ত হন আবদুল্লাহিল আমান আযমী। এরপর আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সদরদফতরে বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বদলা চেয়েছেন সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী।

তিনি বলেন, কোরআনে আছে খুনের বদলে খুন। আমি তদন্ত করে বিচারের আহ্বান জানাই। বিগত সরকারের আমলে যারা তদন্ত করেছে তারা যদি দায়সারা ভাবে করে…। দেশের সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। নতুন সরকার এই প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

আযমী বলেন, ‌‘যখন আমার বাসায় তারা এলো, তখন তাদের কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম আপনারা কারা, পরিচয় কী, পরিচয়পত্র দেখান। তারা আমার কথার জবাব দেননি।

আমি বেশ কিছু প্রশ্ন করেছি, তারা কোনো কথার জবাব দেননি। এক অফিসার আমাকে তুই করে সম্বোধন করে। আমার সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে আমাকে গ্রেফতার করে গাড়িতে নিয়ে চোখ বেঁধে দেয়।’তিনি বলনে, ‌‘আমি ফিরে এসে জানতে পারলাম, আমার পরিবারের ওপর তারা কী পরিমাণ নির্যাতন চালিয়েছে! আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতে চেয়েছিল তারা! এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীকে তুলে নিতে চাইলে স্ত্রী আমার মাকে সাথে নিতে বলে, তখন তারা তাকে নেয়নি। এ সময় আমার বাড়ির যুবতী কাজের মেয়ের ওপর হাত চালিয়েছে। বাসার ম্যানেজার ও দারোয়ানসহ সবার ওপর তারা হামলা চালায়।’

তিনি বলেন, ‘আমার চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় একটা জায়গায় নিয়ে গেল। তারা আমাকে পোশাক দিলো। রাতে আমাকে খাবার দেয়। কিন্তু খাওয়ার মতো অবস্থায় ছিলাম না। টয়লেট যেতে চাইলে তারা আমার চোখ-হাত বেঁধে নিয়ে যেত। প্রায় ৫০ কদম হাঁটার পর টয়লেটে যেতাম।’

উল্লেখ্য, আট বছর পর গত ৬ আগস্ট আয়নাঘর থেকে মুক্ত হন সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মরহুম গোলাম আযমের মেজো ছেলে। ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে আটক করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অব্যাহতি দেয়া হয়।”

412 Views

আরও পড়ুন

জবির শহীদ সাজিদ ভবনের লিফটে ফ্যান স্থাপন করলো ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার 

গাজীপুরের অগ্রভাগে আন্দোলনের রাজপথে অবিচল সৈনিক: মোমিনুর রহমান

রাবিতে বহ্নিশিখার আত্মরক্ষার কৌশল প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

টেকনাফে পাহাড়ে ডাকাত দলের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গোলাগুলি,বিপুল পরিমাণ দেশী-বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

পারকি সৈকতের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ

হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

অ্যালামনাই ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জবিতে দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

অ্যালামনাই ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জবিতে দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ পরিবারকে নগদ সহায়তা দিলেন এমপি প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক

দোয়ারাবাজার উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আনন্দ ভ্রমণ

জুলাই-আগস্ট ভারতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্তির মাস: হোসেন আলী

সুনামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন