ফরহাদ আমিন::
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গাসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।এ ঘটনায় তিন পুলিশ আহত হয়েছেন।নিহতরা হলেন,সদর ইউপি হাতিয়ারঘোনার হাজী হামিদ হোসেন প্রকাশ দালাল হামিদের ছেলে আহাম্মদ হোসেন(৪৫) ও হ্নীলা ইউপি নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের ডি বল্কের সেট নাম্বার ২৮ এর বাসিন্দা মৃত কালা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান (৪৬)।আহতরা হলেন এসআই বাবুল,এএসআই অহিদ ও কনস্টেবল মালেকুল।শনিবার ভোররাতে সদর ইউপির পর্যটন বাজারের উত্তরে মালির পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশের দাবি,নিহত দু’জনই তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা কারবারী।তাদের বিরুদ্ধে থানায় ছয়টি মাদক মামলা রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, শুক্রবার রাতে ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সদর ইউপি মালির পাহাড়ের নিচে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারে পুলিশের একটি টিম নিয়ে অভিযানে যায়।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে।এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।পরে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতাল নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরো জানান,পরে মরদেহগুলো হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ হাজার ইয়াবা,দুইটি এলজি ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রণয় রুদ্র বলেন,রাতে পুলিশ পাঁচজনকে নিয়ে আসেন।এরমধ্যে আহাম্মদ হোসেন ওআব্দুর রহমান আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন।দুইজনের শরীরে তিনটি করে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।এছাড়া আহত এসআই বাবুল ও এএসআই অহিদ ও কনস্টেবল মালেকুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।