ফরহাদ আমিন:
কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।এতে তিন বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন।ঘটনাস্থল থেকে ৫০হাজার ইয়াবা,দুইটি দেশীয় বন্দুক,তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও তিনটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়।সোমবার ভোররাতে হ্নীলা ইউপির দমদমিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন,মিয়ানমারের আকিয়াবের মংডু থানার সিকদারপাড়ার হারুনুর রশিদের ছেলে মো. জামাল(২৭)ও একই এলাকার মো.জাফর আলমের ছেলে মো.ইউনুছ(২১)।টেকনাফ-২ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান,গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দমদমিয়া বিওপির একটি বিশেষ টহলদল দক্ষিণ দমদমিয়া এলাকায় অভিযানে যায়।কয়েকজন স্বশস্ত্র ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর বিজিবি টহলদল তাদেরকে চারদিকে ঘেরাও করে।এ সময় ওই ইয়াবা ব্যবসায়ীরা টহলদলকে লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে গুলি ছোঁড়ে।এতে তিন বিজিবি আহত হন।আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে।পরে টহলদল ঘটনাস্থল তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।তিনি আরো জানান,ঘটনাস্থল থেকে ৫০হাজার ইয়াবা,দুইটি দেশীয় বন্দুক,তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও তিনটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। আহত বিজিবির তিন সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকরিয়া মাহমুদ বলেন,রাতে বিজিবি পাঁচজনকে নিয়ে আসেন।এর মধ্যে মোঃজামাল ও মোঃ ইউনুছ অবশ্য ছিলেন আশঙ্কাজনক।তাদের শরীরের দুইটি গুলির চিহ্নিত দেখা গেছে।
উল্লেখ্য যে,গত৪মে থেকে জেলায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় তিন নারীসহ১৬৭জন নিহত হয়েছে।এরমধ্যে দুই রোহিঙ্গা নারীসহ৪৪রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০