ফরহাদ আমিন:
আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’-এই শ্লোগানে টেকনাফ উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আরো১৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে ৩য় পর্যায়ের(২য় ধাপে) জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন কার্যক্রম শেষে বৃহস্পতিবার(২১জুলাই)সকালে এ উপলক্ষে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘরের কাগজপত্রের ফাইল উপকারভোগীদের হস্তান্তর করেন কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)জাহিদ ইকবাল।উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)মোঃকায়সার খসরু।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম,কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য মোঃশফিক মিয়া,উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃএরফানুল হক চৌধুরী,পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আকতার মিলি,উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাগণসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ,গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপকারভোগী প্রমুখ।গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনাফ উপজেলার ১৪ঘর’সহ ৪৫২উপজেলায়২৬হাজার২২৯ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিহ বাসযোগ্য গৃহ হস্তান্তর শুভ উদ্বোধন করেন।এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)জাহিদ ইকবাল১৪জন উপকারভোগি গৃহহীন পরিবারের নিকট জমির দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।এছাড়া ও দারিদ্র্য বিমোচনে হতদরিদ্র পরিবারকে শিক্ষা’সহ স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,টেকনাফ উপজেলায় মুজিব বর্ষের ঘর ৩য় পর্যায়ে(২য় ধাপ)বরাদ্দকৃত ঘরের সংখ্যা ৭০টি।২১জুলাই উদ্বোধন শেষে১৪টি ঘর উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।এরপর নির্মাণ কার্যক্রম চলমান ৫৬টি সম্পন্ন হবার পর উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেয়া হবে।এখন পর্যন্ত মোট ‘ক’ তালিকাভুক্ত ভূমিহীন ৫২৩টি।১ম পর্যায়ে এবং ২য় পর্যায়ে বরাদ্দকৃত সংখ্যা ২৬২টি ঘর ও উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ২৬২টি।৩য় পর্যায়ে বরাদ্দকৃত সংখ্যা ৪০টি ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।