ফরহাদ আমিন:
কক্সবাজারের টেকনাফে কোভিড-১৯করোনা ভাইরাস চতুর্থ ধাপে উর্ধ্বগতি হওয়ায় ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচারপত্র ও মাস্ক বিতরণ করেন উপজেলা প্রশাসন।বুধবার(৬জুলাই)দুপুরে পৌরসভার শাপলা চত্বর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন দোকান,পথচারীদের মাঝে প্রচারপত্র ও মাস্ক বিতরণ করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ কায়সার খসরু।এসব বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন,টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোঃহাফিজুর রহমান,টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল,কমিটির সদস্য,মেডিকেল অফিসার ও রোগ নিয়ন্ত্রক ডাঃ প্রণয় রুদ্র,উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দময় ভৌমিক,উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুল আফসার,প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সুবীর কুমার দত্ত প্রমূখ।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল বলেন,করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগী বেড়ে চলছে।।বর্ষাকালে চিপসের প্যাকেট, রাস্তাঘাট,নালা-নর্দমা ‍ও প্লাস্টিকের বর্জ্যে পানি জমে থাকে। এসব থেকে এডিস মশার প্রজনন হচ্ছে।ফলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে যত্রতত্র প্লাস্টিক বর্জ্য না ফেলা,ঘরের আশপাশ পরিষ্কার রাখা,দিনে এবং রাতে মশারি টানিয়ে রাখতে হবে।পরিবারের কারও করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ কায়সার খসরু বলেন,উপজেলায় করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে। জনসচেতনতা বাড়াতে মাস্ক ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। বিশেষ করে বাসাবাড়ি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট পরিষ্কারের কার্যক্রম চলছে।করোনা আক্রান্ত কোন রোগী বাইরে ঘুরাঘুরি করতে দেখলে উপজেলা প্রশাসন এবং টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে জানান।তিনি আরো বলেন,করোনা আতংক নয়,সচেতন থাকলেই এর সংক্রমন হতে বাচাঁ যায়।