বিশেষ প্রতিনিধি : মির্জা নাদিম

গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানায় ছাত্রদলের রাজনীতিতে একটি পরিচিত নাম রিফাত রশিদ। ২০১৬ সাল থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা এই সাহসী নেতা স্কুল জীবন থেকেই রাজপথের সংগ্রামে অংশ নিয়ে আসছেন।

রাজনৈতিকভাবে নিপীড়নের শিকার হয়ে তিনি এখন পর্যন্ত
১০ টি মামলার আসামি হলেও কখনো স্বৈরাচারের সঙ্গে আপস করেননি। রাজপথে বুক চিতিয়ে তিনি বারবার উচ্চারণ করেছেন শহীদ জিয়ার আদর্শের স্লোগান। ইতিপূর্বে টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শত শত নেতাকর্মী গড়ে তুলেছেন।

বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে তার সাহসী ভূমিকার কারণে স্বৈরাচারী শাসকের দোসররা তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দিয়েছে। কিন্তু তাতেও দমে যাননি তিনি। ৩৬ জুলাই পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজপথে।

শুধু রিফাত রশিদ নন, ছাত্রদল করার কারণে তার পরিবারকেও অসংখ্যবার নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। স্বৈরাচারী শক্তির দোসররা তার পরিবারের ওপর চালিয়েছে বর্বর নির্যাতন। বিভিন্ন সময় পুলিশি হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, এমনকি তার পরিবারকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে চাপে রাখার চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু এসব বাধা বিপত্তি রিফাত রশিদকে রাজপথ থেকে সরিয়ে রাখতে পারেনি।

টঙ্গী পূর্ব থানার হাজার হাজার তৃণমূলের ছাত্রদল কর্মীদের দাবি, এত ত্যাগ স্বীকার করা এই নেতার যথাযথ মূল্যায়ন হওয়া উচিত। তারা চান, আগামীর টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রদল কমিটিতে রিফাত রশিদকে সভাপতি হিসেবে দেখতে।

মেধামী এই ছাত্রনেতা বর্তমানে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ (BBA) বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রদল কর্মীরা।