টঙ্গী (গাজীপুর)
টঙ্গীতে আওয়ামী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ও অস্ত্র কারবারী এরশাদ নগরের মূর্তিমান আতঙ্ক খুনি কামরুল ইসলাম কামু ও তার সহযোগীদের মাদক ব্যবসা ও সন্তাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
গতকাল (৩০ নভেম্বর) শনিবার বিকেলে এরশাদ নগর বিএনপির পার্টি অফিসে সামনে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন ৪৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন নেতা কর্মীরা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৪৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক চাঁন মিয়া প্রধান,৪৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন
মোল্লা,সিনিয়র সহ সভাপতি অলি উল্লাহ, হেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মাহমুদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বাবু,রফিকুল ইসলাম রিপন, নাইমুর রহমান সুমনসহ অসংখ্য বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন নেতা কর্মীরা।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে ৪৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো.আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, গত ২৬ নভেম্বর রাত্রে এরশাদ নগরে আধিপত্য বিস্তারের জন্য গোলাগুলি করেন কামরুল ইসলাম কামু। এরশাদ নগরে মাদক চাঁদাবাজীর আধিপত্য বিস্তারের জন্য কয়েক দিন পর পর কামু বাহিনী এসব বিশৃঙ্খলা করে থাকে। কামরুল ইসলাম কামু প্রথমে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করছেন।পরবর্তীতে ২০০১ সালে হাসান গ্রুপের মাধ্যমে বিএনপিতে যোগদান করেই এরশাদ নগরে মাদক চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে যায়। আবার ২০০৮ সাল পরবর্তী সময়ে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যায়। এই সন্ত্রাসী কামু দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত থেকে এরশাদ নগরে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতেন।
যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, কামরুল ইসলাম কামু গাজীপুর সিটির গত মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানের নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছে। বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার এর শাসন আমলে এই সন্ত্রাসী কামু আওয়ামী নেতাদের ছত্রছায়ায় এরশাদ নগরে মাদকের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। তবে জুলাই বিপ্লব পরবর্তী তথা ৫ আগষ্টের পর হঠাৎ কামু নিজেকে বিএনপি দাবি করে আগের থেকে আরো ভয়ংকর ভাবে ফিরে এসে চাঁদাবাজী, মাদক সহ এমন অপরাধ নেই যেটার সাথে জড়িত নেই। আওয়ামী সন্ত্রাসী কামরুল ইসলাম কামু নামে প্রায় বিভিন্ন থানায় ৪০ টি মামলা রয়েছে এবং ৯ মামলার ওয়ারেন্ট আছে। প্রায় সব মামলা মাদক ও চুরি ছিনতাইয়ের। একটি মামলাও রাজনৈতিক না। ৫ আগস্টের পর জেল থেকে বের হয়ে এরশাদ নগরে আধিপত্য বিস্তারের জন্য সব ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ৪৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও সাধারণ নগরবাসী কামুর হাত থেকে মুক্তি চায় এবং তার সর্বোচ্চ শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানান।