কক্সবাজার প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক, ৩ ও ১০ নং ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গণসংযোগকালে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষে প্রত্যেক এলাকার প্রতিটি ঘরে-ঘরে, প্রতিটি মানুষের কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। এটি জামায়াতে ইসলামীর দলীয় দায়িত্ব নয়, এটি মহান আল্লাহর নিদের্শিত দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সকলকে মনোনিবেশ করতে হবে।
ঈর্ষনীয়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা দেখে এক দল এখন আওয়ামী লীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম অনুসরণ করে জনগণের আস্থা, ভালোবাসা ও সমর্থন অর্জন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, শহর আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুক, শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রশিদ ও মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।
অপরদিকে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বশীলদের নিয়ে এক সমাবেশ শহর আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। আপোষহীন রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী উল্লেখ করে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোন ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার কিংবা আধিপত্যবাদের সাথে আপোষ করেনি। যার কারণে জামায়াতে ইসলামীর উপর দেশি-বিদেশি নানামুখী ষড়যন্ত্র এবং জুলুম- নির্যাতন ও অপপ্রচার চালানো হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর আমীর, সেক্রেটারী জেনারেলসহ শীর্ষ ১১ জন নেতাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। শত শত মামলায় কয়েক লক্ষ নেতাকর্মী আসামি করে জুলুম- নির্যাতনের মাধ্যমে জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে চায়; যারা মানুষের অধিকার আদায়ে রাজপথে লড়াই করে, তাদের নিঃশেষ করা যায় না, যাবে না।
দায়িত্বশীল সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, জেলা সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে দায়িত্বশীল সমাবেশে শহর জামায়াত আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এতো জুলুম- নির্যাতন করেও যখন জামায়াতে ইসলামীকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি, তখন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেড়ে নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অফিস থেকে শুরু করে ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড অফিস ও বন্ধ করে দিয়েছিলো। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়েছে। এমনকি ইসলাম ধর্মকে তারা জঙ্গিবাদ আর মৌলবাদ আখ্যা দিয়েছিল।
কোন কিছুতেই জামায়াতে ইসলামী এক মূহুর্তের জন্য থেমে থাকেনি, থেমে যায়নি। পরবর্তীতে তারা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিলো। কিন্তু এদেশের জনগণ তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দেশ থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ও জনগণ একই সুতোয় গাঁথা মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী নতুন বাংলাদেশ গড়বে।