ছাতক প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতকে উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত ৮নং দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নে হাওর-বিল সমৃদ্ধ অবহেলিত ৫নং ওয়ার্ডের শেওলাপাড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলেন গ্রাম হবে শহর। তারই ফলশ্রুতিতে অাওয়ামীলীগে সরকারের আমলে চারদিকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসলেও শেওলাপাড়া গ্রামে উন্নয়নের ছিটেফোঁটা পায়নি অবহেলিত গ্রামের লোকজন। গ্রামীণ জনপদের গ্রামটিতে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন চোখে পড়েনি। বর্ষায় এ গ্রামের মানুষের জীবন যেন দূর্বিসহ হয়ে ওঠে।
গ্রামের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, বর্ষায় নিজের বউকে গর্বাবস্থায় চরম কষ্ট পোহাতে হয়েছে তাহ অাল্লাহ মাবুদ জানে। চুরবাটপারে ভরে গেছে দেশ। অাজ অবদি জনপ্রতিনিধিদের নজরে অাসেনি গ্রামের প্রধান রাস্তাটি! গ্রামবাসীরা জানান, দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাপকভাবে চলমান থাকলেও শেওলাপাড়া গ্রামে বিন্দুমাত্র উন্নয়ন হয়নি।
গ্রামের সকল মানুষই কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য যে রাস্তাটি রয়েছে সেটি মাটির তৈরী কাঁচা রাস্তা। সামান্য বৃষ্টিতে প্যাক-কাঁদায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সি,এন,জি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতে গ্রামীণ সড়কটি পানিতে তলিয়ে যায়। এ ওয়ার্ডে একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলে ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুল মাদ্রাসায় যোগাযোগের কারনে অনুপস্থিতির হার কম থাকে।
এমনকি গত বছরের কয়েক ধাপের বন্যায় রাস্তাটি বোরজমিতে পরিনত হয়েছে, রাস্তার কোন চিহৃ নেই! গ্রামের বাসিন্ধা সাংবাদ কর্মী হাসান আহমদ জানান, গ্রামের রাস্তা তো নয় যেন মরন ফাঁদ। গ্রামবাসীর দুঃখ যে কবে শেষ হবে ? কি বা বর্ষা কি বা শীতকাল সবসময় প্রায় হাটু সমান পানি কাদা জমে থাকে।
আমরা শেওলাপাড়া সব চেয়ে অবহেলিত গ্রামের মানুষ। আমাদের রাস্তাঘাট মনে হয় কোন দিন পাকা তো হওয়া দুরের কথা মাঠি ভরাটও মনে হয় কোনদিন হবে না। আর হলেও মনে হয় আমরা নিজ চোখে দেখে যেতে পারবো না। ভোটের সময় আসলে প্রতিশ্রতি দিয়ে ভোট নেয়া হয়, কিন্তুু ভোট দেওয়া হয়ে গেলে নেতারা আর আসে না।
শেওলাপাড়া গ্রামের আশিক আহমদ জানান, এ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরকারের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকলেও এ ওয়ার্ডের শেওলাপাড়া গ্রামে কোন কাজ হচ্ছে না।
চেয়ারম্যান এই গ্রামে কোন উন্নয়ন করতে চান না বলে তা জানান। স্থানীয় দক্ষিণ খুরমা ইউপি চেয়ারম্যানের মুটোফোনে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।#