সাত্তার সিকদার, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আংশিক) আসনে ঈগলে প্রতীকের কাছে ধরাশায়ী নৌকা প্রতীক।
নাগরিক কমিটির স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেব সিআইপি ঈগল প্রতীকে ৮৫ হাজার ৬শত ২৮ ভোট ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টানা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দু'বারের সাংসদ প্রফেসর ড.আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভী নৌকা প্রতীকে ৩৯হাজার ২শত ৫২ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেব ৪৬হাজার ৪শত ৯৭ ভোটের ব্যাবধান বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন। এছাড়া মুহাম্মদ আলী হোসাইন মোমবাতি প্রতীক ৩৬১ ভোট, মুহাম্মদ সোলাইমান কাসেমী হাতঘড়ি প্রতীক ১৫০ ভোট, মোহাম্মদ ছালেম লাঙ্গল প্রতীক ৩৮০ ভোট, মোহাম্মদ হারুন মিনার প্রতীক ২৯৮ ভোট ও মো. জসিম উদ্দীন ছড়ি প্রতীক ৮৬ ভোট পেয়েছেন।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নে ৬৭টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ২৩ হাজার ৬২৬ জন। এরমধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৫৩ হাজার ৮৬৭ জন ভোটার। ভোটের হার ২৪.০৯ ভাগ। স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৩৯ হাজার ১৪৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬১ ভোট।
এছাড়া মুহাম্মদ আলী হোসাইন মোমবাতি প্রতীক ১৫১ ভোট, মুহাম্মদ সোলাইমান কাসেমী হাতঘড়ি প্রতীক ৯৭ ভোট, মোহাম্মদ ছালেম লাঙ্গল প্রতীক ২২৬ ভোট, মোহাম্মদ হারুন মিনার প্রতীক ১৪৮ ভোট ও মো. জসিম উদ্দীন ছড়ি প্রতীক ৩৬ ভোট পেয়েছেন।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, সাতকানিয়া ১১ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৯০টি কেন্দ্রে ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮৫ জন। এরমধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৭৩ হাজার ৮৪৪ জন ভোটার। স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৪৮০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ২৫ হাজার ১৯১ ভোট। এছাড়া মুহাম্মদ আলী হোসাইন মোমবাতি প্রতীক ২১১ ভোট, মুহাম্মদ সোলাইমান কাসেমী হাতঘড়ি প্রতীক ৫৩ ভোট, মোহাম্মদ ছালেম লাঙ্গল প্রতীক ১৫৪ ভোট, মোহাম্মদ হারুন মিনার প্রতীক ১৪৬ ভোট ও মো. জসিম উদ্দীন ছড়ি প্রতীক ৫০ ভোট পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের ১টি পৌরসভা ও ২০টি ইউনিয়নের ১৫৭টি কেন্দ্রে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলমান থাকলেও ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। বিচ্ছিন্ন কিছু ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ছাড়া কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে পুলিশ, আনসার, এপিবিএন, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টিম নিয়োজিত ছিল। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও সর্বাক্ষণীক নির্বাচনী মাঠে ছিল ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০