প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ১০:৪৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ৬:৫৭ অপরাহ্ণ
চকরিয়ায় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছেন কারিগররা
সাঈদী আকবর ফয়সাল, চকরিয়াঃ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১ অক্টোবর। হিন্দুদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কারিগররা।
বেশির ভাগ মন্ডপে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এই দুর্গাপূজা। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে জোরেসোরেই চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। বিভিন্ন জেলায় পূজামন্ডপে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। এরই মধ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন মন্ডপে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
চকরিয়ার ১৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গাপূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জা। প্রতিটি মন্ডপের জন্য তৈরি হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, অসুর, সিংহ, হাস, পেঁচাসহ বিভিন্ন প্রতিমা। অধিকাংশ মন্ডপে চলছে কারিগরেরা রং আর সাজসজ্জায় ফুটিয়ে তুলছেন দুর্গার পূর্ণ অবয়ব। বৃষ্টি থেকে প্রতিমা বাঁচাতে মন্ডপগুলোতে ত্রিপলের ছাউনি তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি মন্ডপে চলছে সাজসজ্জা। শেষ মুহূর্তে চলছে তুলির আঁচড়ে দেবী প্রতিমাকে পূর্ণ রূপ দেয়ার ব্যস্ততা। রং তুলির আঁচড়ে সুনিপুণ ভাস্কর্য। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি যুগের সনাতন ধর্মীয় কৃষ্টি-কালচার, পৌরাণিক কাহিনি ও পার্বণের ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যের পাশাপাশি সামাজিকভাবে মানুষকে সচেতন করার অনন্য আয়োজনে প্রতিমা নির্মাণ। অপরূপ সাজসজ্জা আর আলোর খেলায় তা হয়ে উঠছে মনোমুগ্ধকর। মন্ডপের সামনে বিশাল জলাধারে কৈলাস পর্বতের চূড়ায় ধ্যানমগ্ন মহাদেব। তারই জটায় মা গঙ্গা ঝরনারূপে নেমে আসছে। পাদদেশে রাম, সীতা, লক্ষ্মণ আর ভক্ত হনুমান। পর্বতের চূড়ায় মেঘের ভেলা। পুকুরে ভাসমান পদ্ম আর হংসের নান্দনিক উপস্থাপন। ডিজিটাল আলোকসজ্জার অসাধারণ আবহ শিল্প মাধ্যমের অপূর্ব সংযোজন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন দাশ জানান, চকরিয়ায় প্রতিবছর সব ধর্মের লোকের সহযোগিতায় আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হয়। দুর্গাপূজাসহ সব পূজায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে স্থানীয়, থানা ও উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিকতা লক্ষণীয়।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। প্রতি পূজা মন্ডপে পুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জেপি দেওয়ান জানান- সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উৎসবমূখর হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং সবকটি ইউনিয়নের পূজা মন্ডপের সড়ক সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০
নিউজ ভিশন বিডি