নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে এতিমখানার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয়রা ইউএনও সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের আলোকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাজপুর ভিলেজার পাড়াস্থ ইসলামীয়া হেফজখানা ও এতিমখানায় ৮জুন'২২ইং সকাল ১১টায় সরে জমিনে তদন্ত করেছেন।
জানা যায়, গত ২০০৫ সালে ৫ শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে সুরাজপুর ইসলামীয়া হেফজখানা ও এতিমখানা প্রতিষ্টা করা হয়। এই প্রতিষ্টানটি সমাজসেবা অধিদপ্তর হতে ২০১৪সালে নিবন্ধিত (নিবন্ধন নং কক্স ৪৩৭/১৪ ) হয়। পরে হেফজখানা মাদ্রাসার ছাত্রদের এতিমখানার ছাত্র দেখিয়ে পিতা-মাতা জীবিত থাকা স্বত্বেও ৬৪ ছাত্রের নামে স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক মৃত্যুসনদ দেখিয়ে বিগত ৭ বছর ধরে সরকারি ক্যাপিটেশনের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ ও আবেদনের প্রেক্ষিতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনকে সাথে নিয়ে তদন্ত করে সত্যতা উদঘাটনের উদ্যোগ নেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি রুস্তম শাহরিয়ার। তিনি বলেন, এতিমের সরকারি চলতি ২২-২৩ অর্থ বছরের ক্যাপিটেশনের বরাদ্দকৃত প্রায় ১৬লাখ টাকা বন্ধ, আত্মসাতকৃত পূর্বের অর্থ উদ্ধার ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা এলাকাবাসীর গণদাবী।
সুরাজপুর মানিক পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, পরিষদের প্যাড়ে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে একটি দুষ্ট চক্র এই কাজটি করেছে। এই বিষয়ে স্বাক্ষর জাল কারীদের বিরুদ্ধে চকরিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে, মামলাটি সিআইডি তদন্ত করেছেন বলে জানান।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, তাকে সহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরে জমিনে তদন্ত করা হয়। তদন্তকালে পূর্বের তালিকার ক্যাপিটেশন পাওয়া ৬৪জনের মধ্যে একজন এতিম ছাত্রও উপস্থিত পাওয়া যায়নি। তাছাড়া তদন্তকালে উপস্থিত ৮৬জন ছাত্রের মধ্যে যাদেরকে এতিম দেখানো হয়েছে তাদের অভিভাবকরাও (পিতা) উপস্থিত হয়ে এতিম নয় মর্মে প্রতিবাদ করেন। তাই উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।##
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০