নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের জেলার চকরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের অন্ধকারে রতন কুমার সুশীলের বসতবাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) ভোররাত ১টার দিকে চকরিয়া থানার পশ্চিমে পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের বাটাখালী শীলপাড়ায় ঘটেছে এ ঘটনা।
জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে রাজীব সুশীল গংদের বিরুদ্ধে
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী রতন সুশীলের বড় ভাই
বাদল কান্তি সুশীল বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে; একই এলাকার মৃত কৃষ্ট শীলের পুত্র দুলাল শীল, পৌরসভার পালাকাটা ৭নং
ওয়ার্ডের মোঃ নুরুল আবছার প্র: আবছার (৪০), বাটাখালী শীলপাড়ার দুলাল শীলের ছেলে রাজিব বৈদ্য (৩৩), রুমি শীল (৩০), সানু শীল (২৫)সহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী বাহিনীকে।
অভিযোগে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের বাটাখালী মৌজার বি.এস ৯৯২নং সৃজিত খতিয়ানের বি.এস ৯০৫নং দাগের ০.০৬০১ একর বাড়ী-ভিটার জমি ও বসত ঘর পথ সহ রতন কুমার সুশীলের চৌহর্দ্দিভুক্ত খরিদা জমি রয়েছে। উক্ত চলাচল পথের পার্শ্বে অভিযুক্তদের বহুতল বিশিষ্ট বসতঘর অবস্থিত। কিছুদিন পূর্বে অভিযুক্তরা উল্লেখিত ঘটনাস্থলের জমি জবর দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হলে ঘটনাস্থলের জমির পূর্ব সীমানার বাদী পক্ষের পাকা বাউন্ডারী দেওয়ালের উপরে অভিযুক্তরা বহুতল বিশিষ্ট ঘর নির্মাণ করার জন্য পাকা পিলার নির্মাণ করতে চাইলে রতন কুমার সুশীল বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজারে এম.আর মামলা নং- ১৫২৮/২০২২, ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামীগণের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আদেশ ( ১৪৪ ধারা) প্রচার করেন। এতে আসামীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রচলিত আইন ও বিচারকে অবজ্ঞা করে বিভিন্ন এলাকার অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ভাড়া করে
গত মঙ্গলবার রাত ১ টার দিকে আসামীগণ হাতে বন্দুক, ধারালো দা, কিরিচ, লোহার রড, হাতুড়ী, লাঠিসহ মারাত্মক দেশীয় অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে বসত ভিটায় অনধিকার প্রবেশ করে ভিটায় স্থিত বিদ্যুৎ বাতির লাইনের তার কেটে দিয়ে বিভিন্ন বিদ্যুৎ সরঞ্জামাদী নিয়ে যায়। এমনকি আদালতে চূড়ান্ত বারিত আদেশ উপেক্ষা করে পাকা বাউন্ডারী দেওয়াল ভাংচুর করে আনুমানিক ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। জমিতে স্থিত পাকা বিল্ডিং নির্মাণের সরঞ্জামাদী মালামালের ঘরের কাঠের ও টিনের দরজা জোর পূর্বক কেটে ৩ সুতা বিশিষ্ট ৮০ মণ লোহার রড, যাহার মূল্য- ৩ লক্ষ ৪ হাজার টাকা, ১০০ বস্তা সিমেন্ট, যাহার মূল্য- ৫০ হাজার টাকা, ১টি বড় জেনারেটর, যাহার মূল্য- লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও পাকা ঘর নির্মাণের বিভিন্ন সরঞ্জামাদী, যাহার আনুমানিক মূল্য ৭০ হাজার টাকা আসামীগণ অজ্ঞাত নাম্বারের পিক-আপ গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগি রতন কুমার সুশীলের বড় ভাই বাদল সুশীল বলেন, আমার প্রবাসী ছোট ভাই রতন কুমার সুশীল রেজিঃ দলিল নং- ৭৯৩, তাং- ৩০/০১/২০১৪ইং মুলে অনিল কান্তি সুশীল, পিতা- মৃত সূর্য্য কুমার শীল, সাং- টংকা বতীর কূল, পুর্ব পাড়া, পদুয়া, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম ও অপরাপর মালিকগণের কাছ থেকে ঘটনাস্থলের জমি খরিদ করে জমিতে পুকুর ও পরবর্তীতে বাড়ী-ভিটা করতঃ ঘর করে ভোগ দখলে আছেন।
বাদল সুশীল তিনি আরো জানান, রাজীব সুশীল অন্ধ বৈদ্য নামে পরিচিত। কিন্তু সে চোখ দিয়ে দেখেও না
দেখার ভান করে সহজ-সরল গ্রাম্য নারী-পুরুষের কাছ থেকে ওঝা-বৈদ্য, যাদু-মন্ত্রের চিকিৎসার কথা বলে প্রতারণা পূর্বক অর্থ আত্মসাৎ করতঃ অবৈধ ভাবে কালো টাকার মালিক হয়ে নিরীহ, গরীব লোকের বাড়ী-
ভিটা খরিদ করে বাড়ী-ভিটা জবর দখল ও নিরীহ শান্তিপ্রিয় গরীব লোককে ভিটা বাড়ী হতে উচ্ছেদ এর
অপচেষ্টায় ইতিপূর্বে অনেক ঘটনা করেছে। যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ৮/৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, জমি বিরোধের জের ধরে একটি এজাহার পেয়েছি। তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।