নুহাদুর রহমান সোহেল, ভোলা প্রতিনিধি :
রোববার (২৭ মে) দুপুরের পর থেকে চর নিজাম ঢালচর, কুকরি-মুকরি,মদনপুর, মাঝের চরসহ বিভিন্ন চরের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ অবস্থান নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। এছাড়াও কুকরি-মুকরি এসব চরের ১০ হাজার গবাদি পশু রাখা হয়েছে মুজিব কিল্লায়। চর নিজামে মেম্বার নুর নবী জানান ৫ হাজার গৃহীতপালিত পশু নদীতে ভেসে যায়। অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে চুরে যায়।রিমালের ঘূর্ণিঝড় এত পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চর নিজামের মানুষের বলে শেষ করতে পারবো না। এদিকে জোয়ারে তলিয়ে গেছে সাগর উপকূলের ঢালচরসহ বেশ কয়েকটি দ্বীপচর।
ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আরিফুজ্জামান জানান, মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে মেঘনার পানি বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাঁধের বাইরের রাজাপুর, ধনিয়া, মাঝের চর সহ বেশ কিছু এলাকায় প্লাবিত হলেও এখন পর্যন্ত বাঁধের কোন ক্ষতি হয়নি, বাধ সুরক্ষিত রয়েছে।মনপুরা উপজেলার কিছু কিছু বেরিবাদ ভেঙ্গে গিয়েছে।
এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকূল জুড়ে বৈরীভাব বিরাজ
করছে। মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে কাজ করছে রেডক্রিসেন্ট, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও চিলেকোঠাসহ স্বেচ্ছাসেবীরা।
সময় যত বাড়ছে ততই আতঙ্ক উৎকণ্ঠা বাড়ছে উপকূলে।