শামসুল হুদা লিটন কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকে:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে
২৭ জুন,শুক্রবার সকালে শহরের সাগর সৈকত কনভেনশন সেন্টারে ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড: জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারির শফিউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো: রফিকুল ইসলাম খান । বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড: মাওলানা সামিউল হক ফারকী, জামায়াতের ঢাকা উত্তর অঞ্চলের পরিচালক মাষ্টার আবুল হাসেম খান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও গাজীপুর -৪ (কালীগঞ্জ) সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী মো: খায়রুল হাসান, গাজীপুর -১ (কালিয়াকৈর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী সাবেক সচিব শাহ আলম বকশী,গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা শেফাউল হক, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আনিসুর রহমান বিশ্বাস, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান, কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ফরহাদ হোসেন মোল্লা, কালিয়াকৈর উপজেলা জামায়াতের আমীর বেলাল হোসাইন সরকার, গাজীপুর সদর উপজেলা আমীর মো: আলাউদ্দিন জেলা জামায়াতের মজলিশে শুরা সদস্য মাওলানা মো: আফতাব উদ্দিন, কালিয়াকৈর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইমতিয়াজ হোসেন, শ্রীপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জসীম উদ্দিন প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন,জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েমের জন্য দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছেন। হেদায়াতের মালিক আল্লাহ, তিনি যাকে চান হেদায়েত দান করেন। আল্লাহর খাস রহমত ছাড়া এই আন্দোলনে কেউ শরিক হতে পারবেনা।
তিনি আরো বলেন, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকার জামায়াতে ইসলামীর উপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার, নির্যাতন,নিপিড়ন করেছে। জামায়াত আজ অপ্রতিরোধ্য শক্তির নাম। হাসিনা পালিয়েছে কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়নি।
জামায়াতে ইসলামীর ২ জন মন্ত্রী ছিলো। তারা দক্ষতা সততার সাথে কাজ করেছে। ফখরুদ্দিন – মঈনুদ্দিনের ২ বছর আর শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামল মিলে এই ১৮ বছরে তাদের বিরুদ্ধে কোন দুর্ণীতি খুজে পাওয়া যায়নি। তারা মনে করেছে জামাত নেতাদের আদর্শ ও সততা মানুষ বুঝতে পারলে জামাতের প্রতি মানুষ ঝুঁকে পড়বে।সেই কারণেই তারা জামাতকে শেষ করতে অত্যাচারের ষ্ট্রিম রোলার চালিয়েছে নেতাকর্মীদের উপর। তারা ১১ জন শীর্ষ নেতাকে ফাঁসি দিয়ে এবং জেলখানায় হত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, যারা প্রহসনের বিচারের নামে নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, যারা এসব বিচারের সাথে জড়িত ছিল তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ফ্যাসিবাদের আমলে ৩ টি ভূয়া নির্বাচনে যারা জড়িত ছিল,যারা গুম খুনের সাথে জড়িত ছিল তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে সংষ্কার পরে নির্বাচন। সংষ্কারের আগে কোন নির্বাচন হবেনা। হতে পারে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে।বিগত ৫৪ বছর কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার নজির নেই। তাই তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন, যেনতেন একটা নির্বাচনের জন্য ছাত্র জনতা আন্দোলন করে করেনি। জীবন বিলিয়ে দেয়নি। রক্ত দেয়নি।
তিনি বলেন, মানুষ দুর্ণীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়।তাই আজ দেশের মানুষ বলাবলি করছে “সব দল দেখা শেষ এবার হবে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। তিনি সামনের নির্বাচনী যুদ্ধে একেকজন কর্মীকে সৈনিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার আহবান জানান।