|| খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ||
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) খাগড়াছড়িতে বানভাসী মানুষের মাঝে ছুটে গেছেন। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এবারের অপ্রত্যাশিত বন্যা যে ক্ষতি করলো তা থেকে সকলকে শিক্ষা নিতে হবে। তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) খাগড়াছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে খাগড়াছড়ির প্রশাসন, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও ছাত্র জনতার সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এ আহ্বান জানিয়েছে।
বন্যার ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন- বাংলাদেশের নদী, খাল-বিল, ধান ক্ষেত ভরাট করে যেভাবে আবাসন নির্মাণ করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বর্ষণ হলেই এখানে পানি জমে বন্যা হচ্ছে। কোনোভাবেই এসব স্থানে আবাসন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া যাবে না।
উপদেষ্টা বলেন, ধানক্ষেতের ওপর মহিলা কলেজ নির্মাণে জায়গা বরাদ্দ নির্বাচন করা মোটেই সঠিক হবে না।আলুটিলার উঁচু জায়গায় মহিলা কলেজ নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িতদের অভিনন্দন এবং হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যেক জেলায় ২ জন করে ছাত্র প্রতিনিধি রাখা হবে।
মতবিনিময় সভার পূর্বে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা খাগড়াছড়ি সদর থানার গোলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে বন্যার্তদের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণবিতরণকালে উপদেষ্টার সাথে ছিলেন, রিজিয়ন কমান্ডার ২০৩, খাগড়াছড়ির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মোহাম্মদ আমান হাসান এসপিপি, এনডিসি, পিএসসি সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রধানগণ। এ সময় বন্যাদুর্গতদের মাঝে দ্রুত ও যথাযথভাবে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুজ্জামান'র সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম, সুশীল নাগরিক সুদিন কুমার চাকমা, সাংবাদিক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিক ত্রিনা চাকমা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জাহিদুল আলম, মাসুদ রানা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০