রোকনুজ্জামান সবুজ জামালপুরঃ
পেশা ছিলেন ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল আজ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক।
জানাযায়, এমপি হওয়ার আগে ছিলো না কিছুই। ছিলো ২৯ লাখ টাকা ঋণ। সামান্য পাট ব্যবসা করেই সাদামাটা জীবন যাপন করতেন কোন রকম। জেলা ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ গ্রামে জন্ম তার। নাম প্রক্যশো অনিচ্ছুক,এর আগে জাতীয় পার্টিসহ সকল দলের সাথেই ছিলো তার পথচলা। তবে আ'লীগে যোগদান করেছেন ১৯৯৮ সালে। যোগদান করে ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য হয়ে বনে যান।
শুরু করেন ত্রাসের রাজত্ব প্রথমেই প্রভাব খাটিয়ে চাপ সৃষ্টি শুরু করেন প্রশাসনকে হাতের মুঠোতে নিয়ে নেন। শুরু হয় রমরমা মনোয়ন বানিজ্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের পিছিয়ে ছিলেন না তিনি। উপজেলা আ'লীগের বিভিন্ন কমিটিতে চাহিদা অনুযায়ী পদ পদবী দেওয়ায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সাবেক ধর্মমন্ত্রী। পেছনে তাকাতে হয় নি ! এক্ষত্রে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বঞ্চিত। ভয়ে মুখ খুলতো না কেউ?
এ ছাড়াও আরো জানাযায়, দেওয়ানগঞ্জ ফুটানী বাজার থেকে উলিয়া বাজার পর্যন্ত যমুনা নদীর বাম তীর রক্ষা বাধের সব কাজ তাদের পছন্দের ঠিকাদারের নামে নিয়ে হাতিয়ে নেন শত শত কোটি টাকা। এলাকায় এমপিও ভুক্ত করণের নামে ৩৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও চাকরীর নিয়োগ ও বদলির রমরমা বাণিজ্যে তিনি নিজেকে রেখেছিলেন শীর্ষে।
সৈরাচারী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল। ভোটকারচুপির মাধ্যমে হয়েছেন ৪ বার
এমপি ও মন্ত্রীয় থাকাকালীন সময় বিভিন্ন দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সর্বশেষে ধর্ম মন্ত্রী দায়িত্ব পাওয়ার পর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্ব বানিজ্যে ও পিছিয়ে ছিলেন না তিনি। হজ্ব সিন্ডিকেটের সাথে নিজেকে করেছিলেন সম্পৃক্ত হজ্বের সময় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে পাচার করেন বিদেশে ! সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০জনকে হজ্ব করিয়ে নিয়ে এসেছেন।বাদ পড়েনি তার কোন আত্মীয়-স্বজন এমনকি তার বিয়াই বাড়ি লোকজন। ধর্ম মন্ত্রালয়ের যত প্রকার অনুদান প্রধান করা হয়েছে। তার নামমাত্র অনুদান দিয়েই বাকি টাকা লুটেরাদের নিয়ে ভাগ-বাঁটোয়ারা মাধ্যমে হাতিয়ে নেন। শুরু করে ইসলামপুর ৪ তলা বিশিষ্ট ১টা বিশাল বাণিজ্যিক ভবন। রাজধানী বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি আলিশান ফ্ল্যাট তার নিজ নামে পরিবার সদস্য ও আত্মীয় স্বজনের নামে ক্রয় করেন। এছাড়া অস্ট্রোলিয়া ও কানাডা মত জায়গায় রয়েছে তার নিজস্ব বাসা বাড়ী এবং বিলাস বহুল গাড়িও।
সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল,তার নেতৃত্বে নিজ এলাকায় গড়ে তুলেন ক্যাডার বাহিনী সেই ক্যাডারে পরিচালনায় দায়িত্ব ছিলেন তার সহোদর ভাই মাছুম খান দরবেশ। মাছুম খান নেতৃত্ব প্রতি নিয়তই চলতো টেন্ডার বাজি,চাঁদা বাজি,জমি দখল মানুষকে ভয়- ভীতি প্রদর্শন সহ নানা কিছু। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে গড়ে তুলেন দুলাল বাহিনী। ফরিদুল হক খান দুলালের নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী দের হাতে লাঞ্ছিত হন মহিলা এমপি হোসনে আরা। শুধু তাই নয় প্রয়াত এমপি রাশেদ মোশারফ পরিবারের উপর শুরু করেন নির্মম অত্যাচার।
পৌর মেয়র আব্দুল কাদের শেখকে অহেতুক ভাবে ক্ষমতা অপব্যবহার করে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দেন।
এ কারণেই ভেঙ্গে পড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি কমিটির কাঠামো।
এক সময়ের ঋণগ্রস্ত হয়েও হাজার কোটি টাকার মালিক সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান রয়েছেন আত্মগোপনে। বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দুর্নীতিবাজ এই সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান কে দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করেছেন জামালপুর জেলা বাসী।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০