ঢাকাবুধবার , ৬ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

কুড়িগ্রাম জেলায় শীতের আগমনী বার্তা; খেজুরের রসের ঘ্রাণে মুখরিত

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১৪ অক্টোবর ২০১৯, ৫:১৩ অপরাহ্ণ

Link Copied!

এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় ঝিরঝির বাতাসটায় শিহরণে গা শিশিরটা ছুঁয়ে দেয় সবুজের পা। সূর্যের হাসিটায় নেই ঝিকমিক, কুয়াশার চাদরে শীত এলো ঠিক।

সকালে ফোঁটা ফুলের পাতায় লেগে থাকে ছোপ ছোপ কুয়াশা। সেই সকালে তাঁত বোনা চাঁদর গায়ে জড়িয়ে একঝাক শিশু-কিশোর।এলো চুলের চেহারা দেখলে বোঝা যায় চোখ থেকে ঘুম সরেনি।

তবে এই শীত সকালে লেপের ওমটুকু ছেড়ে তারাও বের হয় কুয়াশা মোড়া রাস্তায়। জানতে চাইলে আলতো হাসিতে উত্তর আসে, খেজুরের রস খুঁজছি খাবার জন্য।

শীত আসতেই খেজুরের রসের ঘ্রাণে ভরে ওঠে বাংলার প্রকৃতি। গ্রামে-গঞ্জে শুরু হয়েছে সেই খেজুর রস আর খেজুর গুড়সহ নানা উপাদানে তৈরি পিঠা খাওয়ার ধুম। গ্রাম থেকে আসা রাজারহাট শহরের জীবনও যে আবহমান বাংলার চিরন্তন এই সংস্কৃতির ছোঁয়া নিতে উতলা। তাই তো তারাও খুঁজে ফেরে সেই খেজুর রসের ঘ্রাণ। তের আইলপথে চলতে চলতে শিশিরে ভিজে যাওয়া পায়ের পাতা। সন্ধ্যে হলেই গাছে গাছে বাঁধা হচ্ছে হাঁড়ি। সকাল হতে না হতেই খেজুর রসের চেনা স্বাদে মাতোয়ারা। বাড়ির উঠোন বা ধান কেটে নেওয়া শূন্য মাঠে গোল হয়ে বসে সেই রস আস্বাদন, মাটির ছোট হাড়িতে ঠোঁট ছুইয়ে খেজুর রসের স্বাদ নেওয়া অতুলনীয়। আর সাথে যদি শুকনো পাতার তৈরি বাটিতে খই, মুড়ি আর খেজুর গুড় পাওয়া যায়, তবে তো পরিচয় মেলে বাঙালির একে অপরে মেতে ওঠার রসবোধের সাথেও।

আর্দশ বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক লুৎফর রহমান আশু বলেন, শৈশব-কৈশোরটা যাদের গ্রামে কেটেছে, খেজুর গাছ থেকে রসের হাড়ি চুরি করে রস খাওয়া তাদের অনেকেরই একটি মূল্যবান স্মৃতি। এখন তো অনেকেই বয়সের ভারে নতজানু। অনেকেই আবার কাজের ব্যস্ততায় সঠিক সময়ে গ্রামে যেতে পারেন না। ফলে অনেকেই এ জায়গাটা থেকে বেশ ভালোভাবে বঞ্চিত হন।

বর্তমান ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয়ের স্বাদ জানে, কিন্তু তারা খেজুর রসের স্বাদ জানে না। খেজুর রস আমাদের আর পাঁচটা সংস্কৃতির মতোই। আমাদের উচিত এটার প্রতি আরো যতœবান হওয়া। আমরা অতীতমুখী নই, তবে সেখান থেকে আমাদের শিখতে হবে। আমরা কখনই ঐহিত্য বিমুখ হতে চাই না,’ বলেন তিনি।

এক দশক আগেও শীতের সকালে চোখে পড়তো রসের হাড়ি ও খেজুর গাছ কাটার সরঞ্জামসহ গাছির ব্যস্ততার দৃশ্য। সাত সকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি হাঁক ডাক দিতেন।

শীতের মৌসুম শুরু হতেই বাড়ি বাড়ি চলতো খেজুরের রস কিংবা রসের পাটালি গুড় দিয়ে মজাদার পিঠাপুলির আয়োজন। সে আয়োজন শিখিয়ে দিতো একান্নবর্তী পরিবার বা সমাজে সকলে একসঙ্গে থাকার স্বাদ ও মানবিকতাও। তবে গ্রামবাংলার এ দৃশ্য এখন আর তেমন নেই। বিভিন্ন কারণে খেজুর গাছ নিধন এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে গাছির সংখ্যা কমে যাওয়ায় এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে খেজুরের রসও ।

124 Views

আরও পড়ুন

৭১ এর চেতনার দোহাই দিয়ে দেশের সম্পদ লুট,খুন,ফাঁসি,আয়না ঘরে নির্যাতন,ক্রসফায়ার দিয়েছে আ’লীগ

তরিকুল ইসলামের কবিতা:- সংবিধানের বিলুপ্তি ঘটুক

বুটেক্সে ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন আইপিই

শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় গ্রেফতার ১

বুক রিভিউ:সময়ের ছবি ‘নীরব কোলাহল’

মৌলভীবাজারে সোনার বাংলা আদর্শ ক্লাবের ৬ষ্ঠ মেধা যাচাই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

হাওরের জনপদ এখন উচ্চশিক্ষায় আরো এগিয়ে যাবে–ড. মোঃ আবু নঈম শেখ

রাবিতে গ্রীন ভয়েস এর নেতৃত্বে মাহিন-সিরাজুল

ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় মনিরকে

নাইক্ষ্যংছড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার !!

আগামী দিনের রাজনীতি হবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ার রাজনীতি: নাজমুল মোস্তফা আমিন

নাটোরে অস্ত্রসহ আওয়ামীলীগ নেতা ও তার সহযোগী আটক