এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শীত জেঁকে বসেছে সীমান্ত ঘেঁষা উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামে। ডিসেম্বরের ১৮ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত রোদের দেখা পায়নি এ জনপদের মানুষ। এ সময় তীব্র শীত পড়েছে। দিনের বেলায়ও কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকতো চারিদিক। এরপর তিনদিন রোদের শক্তি খানিকটা বাড়লেও ১ জানুয়ারি থেকে আবার বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এমন বৈরী আবহাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে এখানকার কৃষক। তারা বীজতলা তৈরি করলেও শীতের তীব্রতায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বীজতলা। অধিকাংশ বীজতলার চারাগাছগুলো সাদা হয়ে গেছে। নতুন পাতা তৈরি হচ্ছে না। কোন কোন বীজতলা প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সঠিক সময়ে এবার বোরো ধান রোপন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শংকিত কৃষক।
কুড়িগ্রামের নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী, ফুলবাড়ী ও বড়ভিটা ইউনিয়ন ঘুরে বীজতলাগুলোর একই চিত্র দেখাগেছে। এমন পরিস্থিতিতে আতংকিত না হয়ে বীজতলাগুলোর সঠিক পরিচর্জা করার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা কুষি অফিসার মাহবুবুর রশীদ বলেন, এ বছর উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর। এখনো এক মাস সময় আছে তাই যাদের বীজতলা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে তারা আবারো বীজতলায় নতুন করে বীজ ফেলতে পারবেন। যাদের বীজতলা সাদা হয়ে গেছে সে কৃষকদের তিনি সঠিক ভাবে পরিচর্জা করার পরামর্শ দিয়েছেন। কৃষকদের হতাশ না হয়ে তিনি কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টদের কাছে পরামর্শ নেয়ার কথা বলেন। এক লিটার পানিতে তিন গ্রাম ইউরিয়া অর্থাৎ এক ঢোল পানিতে ৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ৩৫ গ্রাম পটাশ, ২৫ গ্রাম থিওভিট, এক কর্ক থিমিট ঔষধ মিশিয়ে স্প্রে করলে বীজতলা কয়েকদিনের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এছাড়াও সন্ধ্যা বেলা বীজতলায় পানি ঢুকিয়ে সকালবেলায় বের করে দিতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০