শামসুল হুদা লিটন, কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকেঃ
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তিন যুবক কে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরো ২ জন । এ ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা ও কাপাসিয়া সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১২ মার্চ, শনিবার রাতে কাপাসিয়ার সনমানিয়ার ইউনিয়নের দক্ষিণগাঁও চড়পাড়া গ্রামে এ জঘন্য ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণগাঁও গ্রামের মৃত হিরণ মিয়ার ছেলে রবিন (১৫), মৃত আলম মিয়ার ছেলে ফারুক (২৫), একই এলাকার আলম হোসেনের পুত্র নাঈম (১৫)।
আহতদের মধ্যে একজন হলেন এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে হৃদয়। অপরজনের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, একজন নারীকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়। এই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ তৈরি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণগাঁও এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার রাতে সনমানিয়া এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে নিহতরা এক সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১১টার দিকে তাঁরা বাড়ির কাছাকাছি আসার পর প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের গতিরোধ করে এবং ফেসবুকে কেন পোস্ট দেওয়া হয়েছে এ বিষয়টি জানতে চায়। এ সময় রবিনের বড় ভাই মেজবাহ উদ্দিন বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেন। ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলে সকলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চায় ও বাকিদের দিয়ে ক্ষমা চাওয়ায়।
পরে তাঁরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলে পেছন দিক থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন এসে তাঁদের ছুরিকাঘাত করেন। তাঁদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে ফারুক ও নাঈমের মৃত্যু হয় এবং রবিনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রবিনের মৃত্যু হয়েছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা ৬ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বলে এলাকাবাসী জানান । তাঁদের মধ্যে আহত দুজনকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম নাসিম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
অফিসার ইনচার্জ আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে দুজনের মরদেহ মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০