অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটনঃ
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা চত্বরে উপজেলা
প্রশাসন, প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যােগে ৫ জুন শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনী-২০২১ উদ্বোধন করা হয়। প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) সহযোগিতায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীতে বিভিন্ন স্টলে খামারিগণ তাদের উৎপাদিত পণ্য, পাখি ও প্রাণি নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। এতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশ গ্রহণকারী খামারিদের পুরষ্কারেরও ব্যবস্থা ছিলো।
কিন্তু প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর স্টলে বালিহাঁস স্থান পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে জনমনে কৌতুহল ছিল একটু বেশি। পরিবেশ সচেতন কিংবা পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন এমন সব দর্শনার্থী বালিহাঁস আনার বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে অনেককেই নানা ধরনের মন্তব্য করতে শোনা যায়। বালিহাঁস নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করে বলেন, বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে বালিহাঁস প্রজাতির পাখি সংরক্ষিত। এক সময় আমাদের দেশের গ্রাম-গঞ্জের পুকুর, খাল, বিলে, তাল, নারকেল গাছের কোটরে বালিহাঁসেরা বসবাস করতো। বর্তমানে এদের খুব একটা দেখা যায় না। পাখি নিধনকাটীদের অধিক লোভের কারণে মায়াবী এই বালিহাঁস হারিয়ে যেতে বসেছে। অথচ একসময় আমাদের দেশের খালে -বিলে, পুকুর ডোবায় যত্রতত্র বিচরণ করতো। বালিহাঁস গৃহপালিত কোন পশু-পাখি নয়। বালিহাঁস আজ বিলুপ্তির পথে। অথচ এমন একটি পাখি প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর স্টলে স্থান পেয়েছে বলে অনেকেই হতবাক ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনা বালিহাঁস শিকার করতে মানুষকে উৎসাহিত করবে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীতে
বালিহাঁস কীভাবে স্থান পেল - এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, " একজন খামারী সখ করে নিয়ে আসেন। তাকেতো আমরা নিরুৎসাহিত করতে পারিনা। অনেক মানুষ বালিহাঁস দেখেনি। মানুষকে জানানোর জন্যে আনা হয়েছে। মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টি দেখা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বালিহাঁস বানিজ্যিকভাবে লালনপালন করার কোন নিয়ম নেই। বালিহাঁস ব্যক্তিগতভাবে লালন-পালন করার বিষয়ে আমাদের কোন উদ্যােগও নেই। "
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০