শামসুল হুদা লিটন,কাপাসিয়া (গাজীপুর)থেকেঃ
ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক শিশুকে অপহরণ করে প্রতারণাকালে বৃহস্পতিবার সকালে চারজনকে গ্রেফতার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। উপজেলার রায়েদ বাজার ও দরদরিয়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে অপহৃত শিশুর ফুফু মমতা রানী বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাত জনের নামে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৭ জন যুবক উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের নরসিংহপুর ঋষিপাড়া এলাকার চন্দন রবিদাসের বারো বছরের শিশু পল্লব রবিদাসকে আটক করে একটি মাইক্রোবাসে উঠাতে চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে পল্লবকে মাদক বিক্রির অভিযোগে তারা গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানায় এবং একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে সেই নম্বরে যোগাযোগ রাখতে বলে। পরে প্রতারকরা ফোন করে পল্লবকে ছাড়িয়ে নিতে হলে তার পরিবারের কাছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। বেশ কয়েকবার ফোন দেওয়ার এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন শুধু ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হলে তারা তা নিয়ে তরগাঁও পালকি কমিউনিটি সেন্টারের কাছে আসতে বলে। তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হলে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। এ সময় থানার পরিদর্শক এস.এম আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সাদা পোশাকধারী একদল পুলিশ পরিবারের লোকজনকে নিয়ে সেখানে হাজির হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারকরা দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালাতে চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে রায়েদ বাজার নদীরঘাট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে দুইজন এবং দরদরিয়া এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার সদর ইউনিয়নের বরুন গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ আলআমীন (২৫) ও মোঃ মোস্তফা (৩০), রায়েদ ইউনিয়নের হাইলজোর গ্রামের মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সেলিমের ছেলে মোঃ মারুফ (১৮) এবং জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার মোশারফগঞ্জের লাল মিয়ার ছেলে মোঃ রাকিব (২৭)। এ সময় আরো তিন জন পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ.এফ.এম নাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০