শামসুল হুদা লিটন, কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকে:
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় 'পথের সাথী' পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়নের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন 'পথের সাথী' পরিবহনের মালিক ও নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা গত ফেসিস্ট সরকারের আমলে পথের সাথী পরিবহনের একজন কাউন্টার মাস্টার আব্দুস সামাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। গত ১৪ বছর ধরে তার কাছে মালিকদের পাওনা টাকা চাওয়ার বিষয়টিকে চাঁদা দাবি বলে প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
কাপাসিয়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জুনায়েদ হোসেন লিয়ন বলেন, গাজীপুর সদর থেকে কাপাসিয়ার টোক পর্যন্ত যাত্রী পরবহনের জন্য ২০১১ সালে জয়েনস্টক অব কোম্পানি থেকে তিনি 'পথের সাথী' পরিবহনের অনুমোদন নিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পরে তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ২৯ টি মামলা দিয়ে তার কাছ থেকে 'পথের সাথী' পরিবহনের দায়িত্ব আব্দুস সামাদ ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় আব্দুস সামাদ 'পথের সাথী' পরিবহনের মালিকদের সাথে নির্দিষ্ট হারে ভাড়া পরিশোধের চুক্তি করেন। কিন্তু ফেসিস্ট সরকারের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় আব্দুস সামাদ মালিকদের কোন ভাড়া পরিশোধ করে নি।
গত ১৪ বছরে বাস মালিকগণ ভাড়া বাবদ প্রায় ৪০ লাখ টাকা পাওনা রয়েছেন। বর্তমানে সব বাস মালিকগণ জুনায়েদ হোসেন লিয়নের নেতৃত্বে সামাদের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় তা না দেওয়ার অজুহাতে চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগ করেন।
রাজদূত পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারফুদ্দিন সবুজ বলেন, একজন স্বল্প বেতনের কাউন্টার মাস্টার কীভাবে ৫টি বাসের মালিক হতে পারেন তা কোনোভাবেই বোধগম্য নয়। আব্দুস সামাদ একজন বড় মাপের ভাটপার। গত ফেসিস্ট সরকারের আমলে রাজদূত পরিবহন ও পথের সাথী পরিবহনের মালিকদের জিম্মি করে তিনি কোটি টাকারও বেশি লুটপাট করে বাস মালিকদের পথে বসিয়ে দিয়ে নতুন করে চাঁদা দাবির মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বাস মালিক ও নেতৃবৃন্দ আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পথের সাথী পরিবহনের পরিচালক ফরিদ খাঁন, মোঃ শামসুল হক, মাসুদ পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ জানান, তার বিরুদ্ধে বাস মালিকদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ভিত্তিহীন। তাদের কাছ থেকে কোম্পানী ভাড়া নিয়েছেন এমন কোন দলীল পত্র থাকলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান তিনি। আইনগতভাবেই তাদের জবাব দিবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০