----------
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী কাট্টলী জাকেরুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় গ্রহণ করা কর্মসূচী আজ ২৯শে ডিসেম্বর’২২ইং বৃহস্পতিবার মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
১৬ডিসেম্বর’২২ইং শুক্রবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল দিয়ে শুরু হওয়া কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ ২৯ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতি চারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মুতিচারণ ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম। প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাট্টলীর কৃতিসন্তান মো: সেলিম উল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান আলী, আলহাজ্ব শফিউল আলম, মো: ইকবাল চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ও সৈয়ন নূর উদ্দিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ শাহ আলম। অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি মাওলানা আবু হানিফা মোহাম্মদ নোমান।
প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সেলিম উল্লাহ বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি সে দিন ডাক না দিলে আমরাও মহান মুক্তিযোদ্ধে যাপিয়ে পড়তাম না। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য যা করেছে তা দেশ ও জাতি স্মরণ করবে। জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান যারা আমাদের সাথে যুদ্ধ করে প্রাণ হারিয়েছে আজ সবচেয়ে তাদেরই বেশী স্মরণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, স্কুল কলেজ ও মাদরাসায় মুক্তিযোদ্ধের চেতনাকে লালন করতে হবে। তাদেরকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে যুগউপযোগী কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, জাকেরুল উলুম মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ মুক্তিযুদ্ধাদের স্মরণ করার জন্য। ইতিহাসের পাতায় এ মাদরাসাও স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা বদিউল আলম বলেন, দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধারা। তাদেরকে স্মরণ, সম্মান ও বরণ করার মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের স্বার্থকতা খুঁজে পায়। তিনি জাতীয় ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ দিবস সমূহের কর্মসূচীতে গভার্নিং বডির সদস্য, এলাকাবাসী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
শেষে দেশ ও জাতীর কল্যাণ কামনা করে দোয়া, মিলাদ ও মোনাজাত পরিচালণা করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০