|| রাঙামাটি প্রতিনিধি ||
তিনদিন ধরে থেমে থেমে ২/১ ঘন্টার ভারী বর্ষণ ও ভারতীয় উজানের পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানির চাপ বেড়েছে। বাঁধ ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টির চাপে ৮টি স্পীলওয়ে সাড়ে ৬ ইন্চি খুলে দিয়ে প্রায় ৮ হাজার কিউসেক পানি নিস্কাষন করছে। রাত ১০টায় আরও ৮ টি স্পীলওয়ে খুলে দেয়া হবে।
কয়েকদিনের অনিয়মিত বৃষ্টির পানি সাথে প্রতিদিন গড়ে ২/১ঘন্টার ভারী বর্ষণে হ্রদের পানির স্তর গত তিন বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘন্টার হয়েছে। ভারী বর্ষণ ও ভারতীয় উজানের পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানির চাপ বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে। হ্রদ তীরবর্তী জনপদ ও নিন্মান্চল তলিয়ে গেছে । কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বাঁধকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে ৮ টি স্পীলওয়ে ৬ ইন্চি খুলে দিয়েছে। রাত ১০ টায় আরও ৮ টি স্পীলওয়ে খুলে দেবে বলে জানিয়েছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
আবারও বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বাঘাইছড়িতে চলতি বছর ৪র্থবারের মতো
আংশিক বন্যা দেখা দিতে পারে আশংকা করছে স্থানীয়রা।। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী এলাকাও তলিয়ে গেছে। শহরের ট্রাক টার্মিনাল- বাসটার্মিনাল সংযোগকারী ফিসারী বাঁধও ঝুঁকিতে পড়েছে। বিগত ৩ বছরের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর এতোটা বাড়েনি।
অপরদিকে প্রবল ভারী বর্ষণে জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। বন্যার্তরা আশ্রয় কেন্দ্রে গেলেও পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে বসবাসকারী লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার খবর পওয়া যায়নি।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো: এটিএম আব্দুজ্জোহা এ প্রতিনিধিকে বলেন, রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদের পানি স্তর ঠিক রাখতে আমারা সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রয়েছি।পানি বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে স্পীলওয়ে কতটুকু ছাড়া হবে নির্ভর করছে। আমরা ৮ টি স্পীলওয়ে ৬ ইন্চি খুলে দিয়েছি। রাত ১০ টায় আরও ৮ টি স্পীলওয়ে খুলে দেবো। প্রয়োজনে কমবেশীও হতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা। #