“পৃথিবী ধমকে গেছে যা দেখি নতুন লাগে”
সত্যিই মার্চ মাসের ৮ তারিখ থেকে যখনই বাংলাদেশের মাটিতে করোনা ভাইরাসের দেখা পাওয়া যায় ঠিক তখনই পৃথিবীর রূপরেখা পরিবর্তন হতে থাকে, এই পরিবর্তন এক পর্যায়ে সকল মানুষকে ঘরে বন্দী করে ফেলে।যার জন্য শতভাগ ব্যাস্ত থাকা ঢাকা শহরের চিত্র ও পাল্টে গেলো সহজে, ঢাকা শহরের অলিগলি সহ সকল ব্যাস্ত এলাকা নিরব হয়ে গেলো কোথাও কেউ নেই, নেই কোনো যানবাহন, নেই যানজট, গাড়ির পু,পা বিকট শব্দ।সবকিছু যেনো অচেনা ভুতের শহর বলে মনে হয়।
“করোনা ভাইরাসের ভয়াবহার জন্য বিভিন্ন জেলায় দেওয়া হয় “লকডাউন”এই করোনার জন্য লকডাউন শব্দটি নতুন ভাবে আমাদের সকলকে প্রথমে একটু আতঙ্গকের মধ্যে ফেলে দিলেও কিছু দিনের মধ্যে সবকিছু পরিস্কার হয়ে যায় সকলের কাছে।যাইহোক করোনা ভাইরাসের কারণে ধনী গরীব, অসহায়, দিনমজুর, কৃষক, ক্রেতা ও বিক্রেতা সকলেই এক রকমের ঘরের মধ্যে বন্দি।
যার কারণে দিনমজুর, কুলি, পথশিশু এরা খুবই অভাবে দিনগুলো অতিবাহিত করছেন কারো দুবেলা খাওয়ার মতো কোনো পথ নেই নেই কোনো ডাস্টবিনে বড়লোকের ফেলে দেওয়া বাসি খাবার, নেই কোনো হোটেল খোলা যে হোটেলে থালা, বাসন ও চেয়ার টেবিল পরিস্কার করে দুমুঠো ভাত খেতে পারতো পথশিশুরা।সত্যিই কথাগুলো লিখতে যেনো চোখ থেকে দুফোটা পানি চলে আসলো এটাই বাস্তবতা এটাই সত্যি।তারপরও কথা থেকে যায় পথশিশুদের প্রতি আমাদের সকলের কমবেশি দায়িত্ব আছে আমরা কি কেউ সেই দায়িত্ব পালন করছি ?অবশ্যই না?আজকের শিশুরা যদি আগামীদিনের ভবিষ্যত হম তা হলে কেনো করোনা ভাইরাসের মহামারীর জন্য দিনমজুর, পথশিশুদরা দুমুঠো খাবার খেতে পারছেন না?
একদিন করোনা ভাইরাস শেষ হবে দেখবো নতুন সকাল, তারপরও থেকে যাবে আজকের পথশিশুদের কষ্টের দিনগুলো, থেকে যাবে পথশিশুদের না খেয়ে রাস্তায় কুকুরের সঙ্গে মিলেমিশে এক সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকার চরম সত্যের ছবিটি।।
“পরিশেষে সকল ধনীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ আপনার অবশিষ্টাংশ খাবার ফেলে না দিয়ে ঐ খাবার টুকু পথশিশুদের মুখে তুলে দিলে ওরা অনেক ভালো থাকবেন ওরা অনেক খুশি থাকবেন আপনারা ওদের দিকে একটু হাত বাড়িয়ে দিয়ে দেখুন ওরা প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার জন্য জীবন ও দিয়ে দিতে পারবে।
“আমরা সবাই একই রক্তে মাংসের মানুষ এবং মহান আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব।তাই বলবো আজকের করোনা ভাইরাস আমাদের জীবনের অনেক মূল্যবান বিষয়ে শিখতে প্রেরণা দিয়েছে আমরা ভালো কিছু শিখবো ভালো পথে চলবো তবেই মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল ধরণের বিপদের হাত থেকে রক্ষা করবেন দূর করে দিবেন করোনা ভাইরাস।
“ভালো থাকুন;সুস্থ্য থাকুন,
ঘরে থাকুন, পরিবারের সকলকে ঘরে রাখুন।
—————-
লেখক সাংবাদিক
মোঃ ফিরোজ খান