বিশেষ প্রতিবেদক, কক্সবাজার:
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে হতদরিদ্র মানুষের জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থা উপহার পাঠায় জেলা প্রশাসনকে। সেসব উপহার বিতরণে অনিয়ম ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ আছে-উপহার বিতরণের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) রুবাইয়া আফরোজ ও অফিস সহকারী মেহেরী আলী সমিতিপাড়া থেকে তার স্বজনদের ডেকে রাতের আধাঁরে এসব বিতরণ করে দিয়েছেন। ৭ বছর ধরে একই অফিসে থাকার সুবিধার্তে নানা অনিয়মে জড়িয়েছে মেহের আলী। শীর্ষ কর্মকর্তাদের নজর এড়িয়ে এসব অনিয়ম ও হয়রানি করা হচ্ছে।
দাতা সংস্থা থেকে পাওয়ার উপহারের মধ্যে রয়েছে-চাল, ডা, পেয়াজ, রসুন, লবণ, তেলসহ নানা ঈদ সামগ্রী। যা অন্তত কয়েক হাজার মানুষের জন্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু স্বজনদের বাইরে এসব যেতেই দিচ্ছে না মেহের আলী। রাতের আধারে স্বজনদের এসব দিয়ে দিচ্ছেন। সেরকম একটি অডিও এসেছে প্রতিবেদকের হাতে।
ওই অডিওতে শুনা যায়-ডেকে ডেকে স্বজনদের এসব উপহার নিতে আসতে বলছে। যারা আসবে তাদের দিয়ে দিয়েছেন সেটাও বলতে শুনা যায়। সমিতিপাড়া ও লিংরোডের অন্তত শতাধিক স্বজনকে এসব উপহার দিয়েছেন।
অথচ, হতদরিদ্র দিনের পর দিন দাড়িয়ে এসব উপহার পাচ্ছেন না। যান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। তারা বলছেন, মেহের আলী ক্ষমতা কাটিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণ করছেন। যা কখনো কাম্য নয়।
প্রতিবেদকের কাছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
প্রতিবন্ধীসহ তিনজন ভুক্তভোগী জানান, প্রতি বছরের মত আমরা এবছরেও লিখিত আবেদন করেছি৷ ঈদ উপহার বন্টনে দায়িত্বে থাকা মেহের আলী কাছে আসলে আমাদের সকাল বিকেল করে করে এক সপ্তাহ ডিসি অফিস এনেছে৷ এ হয়রানির বিচার চাই৷
অভিযুক্ত মেহের আলীর কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কোন আত্বিয় স্বজন নেই৷ পরে প্রতিবেদককে বিশেষ অনুরোধ করে বলেন একটু অফিসে আসেন৷
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) রুবাইয়া আফরোজ অস্বীকার করে বলেন, আমরা এসব করিনি৷ তবে রমজানের কারনে রাতের আধারেও দেয়া হচ্ছে৷
উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) রুবাইয়া আফরোজের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা প্রদান না করা এবং নিবন্ধক সহকারী কর্তৃক নাগরিক হয়রানি ও হমকির অভিযোগও রয়েছে।
###