ফরহাদ আমিন:
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পণ্য সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনরা মঙ্গলবার(২৯নভেম্বর)সন্ধ্যার পর স্থলবন্দর থেকে৪৫টি পণ্যবাহী ট্রাক ও কার্ভাড ভ্যান দেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়া কথা থাকলেও এসব ট্রাক সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ী ও স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
টেকনাফ স্থল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন,শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের একটি চিঠির প্রেক্ষিতে গত১৫নভেম্বর থেকে দিন বন্দর থেকে সারাদেশে আচার ও সুপারির সরবরাহ বন্ধ ছিল।২৫নভেম্বর থেকে পন্য সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।কিন্তু মঙ্গলবার পণ্যবাহী ট্রাকের কাগজ পত্র যাচাইয়ের নামে ব্যবসায়ীদের হয়রানী শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন,শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ চট্টগ্রামের সহকারি কমিশনার উত্তম চাকমা বন্দর থেকে পন্যবাহী প্রতিটি ট্রাক থেকে প্রতিটনে এক হাজার ও গাড়ি প্রতি এক হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করছে।অথচ এসব ট্রাকের সকল রাজস্ব ঠিকভাবে পরিশোধ করে ছাড়পত্র নেয়া হয়েছে।এখন ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে স্থলবন্দরে পণ্যবাহী যানবাহন এলোমেলো ভাবে রেখে পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছেন।ফলে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর৪৫টি ট্রাক ও কার্ভাড ভ্যান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতে না পারায় স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে।
স্থলবন্দর পরিচালনাকারি ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব)মো.জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন,বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকের যানজট সৃষ্টি হয়েছে।নারিকেল,সুপারিশুঁটকি, আদা,আচার ও কাঠ নিয়ে৪৫টি ট্রাক রওয়ানা হওয়ার কথা ছিল।প্রথমে শুল্ক বিভাগ কাগজপত্র যাচাইয়ের কথা বললেও পরে ব্যবসায়ীরা নিজেই পণ্য সরবরাহ বন্ধ রেখেছেন।তবে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ একটি চিঠি দিয়ে কয়েকটি ট্রাকের পণ্য সরবরাহ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
টেকনাফ শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা মোকামাল হোসেন বলেনউর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশে ট্রাকের কাগজ পত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দেয়া হয়।টাকা দাবি বিষয়ে কোনো কথা বলতে তিনি রাজী হননি।
টেকনাফ কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা লুৎফুল হক বলেন,ট্রাকে যেসব পণ্য নেয়া হয়েছে তার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।আরও পন্য বন্দরে মজুদ রয়েছে।এসব পণ্যের কিছু-কিছুও রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।তবে পণ্যবাহী কয়েকটি ট্রাক নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তির মুখে বন্ধ থাকার কথা শুনেছি।তবে রাজস্ব বিভাগের কোন আপত্তি নেই।
বিষয়টি নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত কমিশনার নুরুল বশরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন এবং পরে আলাপ করবেন বলে ফোন কেটে দেন।এর ঘন্টা পর রাত৮টা১৫মিনিটের আবারও ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অভিযুক্ত শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ চট্টগ্রামের সহকারি কমিশনার উত্তম চাকমা বলেন,তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তিনি মিথ্যা বলে দাবি করেন তবে কাগজপত্রের সমস্যা থাকায় কয়েকটি পণবাহী ট্রাকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাইয়ের শেষে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০