——–
উত্তর মহেশখালীর পাঁচটি ইউনিয়ন! লাখো মানুষের ঠিকানা! অথচ এই তথাকথিত ‘উন্নয়নের যুগে’ আমাদের জন্য একটিও সরকারি হাসপাতাল নেই! এটি কেবল ব্যর্থতা নয়, এটি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জঘন্য অপরাধ!
আমাদের জীবন কি এতটাই সস্তা? যেখানে সামান্য অসুস্থতা বা প্রসূতিজনিত কারণে এই জনপদের মানুষ চিকিৎসার জন্য মাইলের পর মাইল মরন যন্ত্রণা নিয়ে অন্য উপজেলায় ছুটছে । বহু জীবন হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় জীবন শেষ হয়ে গেছে। আমাদের স্বজনেরা পথে মরছে, আর এই প্রতিটি মৃত্যুর দায়ভার সরাসরি এই অমানবিক প্রশাসন ও নেতা বাবুদের নিতে হবে!
আপনারা শত-শত কোটি টাকার মিথ্যা উন্নয়নের ঢাক ঢোল পেটান! অথচ আমরা এখানে জীবনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ! যে জনপদে জীবন বাঁচানোর ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই, সেখানে উন্নয়নের এই মিছিল দিয়ে আমরা কী করব? উত্তর মহেশখালীর জীবন কি এতটাই সস্তা যে তা রাজনীতিকদের তুচ্ছ অবহেলা আর বৈষম্যের শিকার হবো?
ভোটের মৌসুম এলেই সেই পুরোনো রাজনীতির সওদাগরেরা ফিরে আসে, মুখে সেই পচা বুলি! জাতীয় আসনে, জাতীয় নেতারা নির্বাচন করবে — এসবের গল্প দিয়ে আমাদের অধিকার চাপাচাপা দিতে চাই !
আমার বোন যখন প্রসূতিকালে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করেছে, তখন কোন নেতা তাঁকে বাঁচাতে ছুটে এসেছেন? কেউ তো না! তারা শুধু এসেছেন আমাদের ভোট চুরি করতে!
প্রশ্নটা একটাই – আর কতদিন এই অঞ্চলে ‘পেটের রাজনীতি’ চলবে? আমাদের লাশের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আর কতবার ক্ষমতা ভোগ করবেন? আপনাদের ‘উন্নয়নের’ কফিনে আমাদের স্বজনেরা শুয়ে আছে— এই সত্য ভুলে যাবেন না!
আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে! আর উত্তর মহেশখালীর জনগণের জীবন নিয়ে আর মশকরা করবেন না!
আমাদের স্পষ্ট, দ্ব্যর্থহীন এবং অনমনীয় দাবি– অবিলম্বে, এখন, এক্ষুনি উত্তর মহেশখালীতে একটি সরকারি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে! শুধু টেন্ডার বা আশ্বাস নয়— মাঠে কাজ চাই! ইট পড়ুক, কাজ শুরু হোক!
দায়িত্ব নিন, নয়তো জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে! যে জনপ্রতিনিধি এই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবেন, উত্তর মহেশখালীর জনগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করবে। এইটাই আমাদের শেষ বাক্য!
– মুহাম্মদ ফারুক আজম ✍️, সংবাদকর্মী