বার্তা পরিবেশকঃ কক্সবাজারের চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত এস এম জাহাঙ্গীর আলমের দায়িত্ব পালনে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশনা আমলে না নিয়ে জেলা প্রশাসক গত ১০ ফেব্রুয়ারি অন্যান্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাকেও দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে তার স্থলে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মো. ইসমাইল মানিককে প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। এতে কার্যত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
যদিওবা গত ৫ আগষ্ট পরবর্তী আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যেখানে আত্মগোপনে রয়েছেন, সেখানে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এলাকায় অবস্থান করে ইউপি এবং ব্যক্তগত কার্যালয়ে বসে জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু পলাতক দেখিয়ে অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনের কারণে জাহাঙ্গীর আলম ইউনিয়ন পরিষদে আর যেতে পারেননি। এই অবস্থায় ইউনিয়নের আপামর জনসাধারণ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নানা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
এক মুহুর্তের জন্যও এলাকা ছেড়ে যাননি দাবি করে এস এস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করে বিপুল ভোটে দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বেশ ক্ষুদ্ধ হন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি জাফর আলম। মূলত আমাকে চেয়ারম্যানের পদে বসতে না দিতে বিভিন্ন বাদী সাজিয়ে একাধিক ফৌজদারি মামলা রুজু করান। এর পর সেই মামলা দেখিয়ে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরখাস্ত করান।’
নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সেই বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করলে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী দ্বৈত বেঞ্চ আমাকে চেয়ারম্যান পদে বহাল করে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকতা, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সেই আলোকে আমি চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণকে সরকারি সেবা প্রদান করে আসছিলাম। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আমলে না নিয়ে এবং এলাকায় অনুপস্থিত রয়েছি দেখিয়ে জেলা প্রশাসক গত ১০ ফেব্রুয়ারি অন্যান্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমাকেও দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হলে আমার পক্ষে দেওয়া পূর্বের আদেশ বহাল রয়েছে মর্মে ফের নির্দেশনা দেন এবং মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, উচ্চ আদালত বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলমকে স্বপদে বহাল রাখা সংক্রান্তে দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ ##