নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ কর্তৃক দলিল জালিয়াতি করে জায়গা জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত জমি জবরদখল থেকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের সহযোগিতা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে পেকুয়া উপজেলা প্রেস ক্লাব সভা কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শামসুন্নাহার বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী হতে বিএস রেকর্ডীয় খতিয়ান ৫৪৬ হতে ২৬ শতক জমির যথাযত দেয়ারা জরিপে রেকর্ড হয়। যার খতিয়ান নং ১৩২৯ এবং দাগ নং ৭৪৯৪। উক্ত জমি আমরা দীর্ঘ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ গং উক্ত জমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে ভূয়া কবলা সৃজন করে জোর পূর্বক জবরদখল করে। আমরা এ জবরদখলের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করার পর বিজ্ঞ আদালত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও দীর্ঘ শুনানীর পর সাবেকুন্নাহারের পক্ষে রায় প্রদান করে অবৈধ দখলদারকে জমির দখল ছেড়ে দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ মামলা চলাকালীন সময়ে তথ্য গোপন করে এবং জাল দলিল সৃজন করে পেকুয়া ভূমি অফিসে জমাভাগ খতিয়ান সৃজন করে। এ খতিয়ানের বিরুদ্ধে আমরা আপত্তি দেওয়ার পর বিজ্ঞ আদালত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সৃজিত এ খতিয়ানকে অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপরও ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ আদালতের রায় অমান্য করে উক্ত জমি জবরদখল করে রেখেছে। ভুক্তভোগী পরিবার আরও অভিযোগ করে বলেন, ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ প্রভাবশালী প্রকৃতির লোক হওয়ায় প্রতিনিয়ত আমার মেয়ে ও মেয়ের জামাইদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যেকোন সময় বড় ধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে। এমতাবস্থায় আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আছি। ভূমিদস্যূ নুর মোহাম্মদ মেম্বারের অত্যাচার থেকে বাচতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।