ফরহাদ আমিন:
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে নেওয়ার কথা বলে ইউএনও অনুমতিপত্র জালিয়াতি করে নির্মাণ সামগ্রী সিমেন্ট,বালু ও টিন মিয়ানমারের পাচারের ঘটনায় জড়িত এক ইউপি সদস্যসহ ৭-৮জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার(২মে)রাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিস সহকারী বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে টেকনাফে ইউএনও অনুমতিপত্র জালিয়াতি করে মিয়ানমারে পাচার শিরোনামে একটি যুগের চিন্তায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল।এরপর জেলা-উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে তৎপর হয়।
ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন,উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিস সহকারী বাদী হয়ে বরখাস্ত করা বীচকর্মী আশিকুর রহমান এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের নারী ইউপি সদস্য মাহফুজা আক্তারকে এজাহারভুক্ত করে এবং আরও ৭-৮জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নথিপত্র জালিয়াতি এবং মিয়ানমারে পণ্য পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।আমরা তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএন)শেখ এহসান উদ্দিন বলেন,উপজেলা প্রশাসনের নথিপত্র জালিয়াতি করে একটি চক্র মিয়ানমারে সিমেন্ট-টিন পাচার করেছে।এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।